শিশু নির্যাতন, জাতির জনকের ভালোবাসার চরম অবমাননা : সেলিনা হোসেন
শিশু নির্যাতনকে জাতির জনকের ভালোবাসার চরম অবমাননা হিসেবে উল্লেখ করেছেন খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক সেলিনা হোসেন।
সেলিনা হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও লজ্জার বিষয় যে, সেই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশেই একদল দুর্বৃত্ত শিশুদের নির্যাতন করছে। এটি শুধু আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ নয়, শিশুদের প্রতি জাতির জনকের যে ভালোবাসা ছিল, তার প্রতিও চরম অবমাননা।
গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সিনেট ভবনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে সেলিনা হোসেন এসব কথা বলেন। এ অবস্থার বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিশু নির্যাতনকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
আলোচনা সভায় সেলিনা হোসেন আরো বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এত বড় এই হত্যাকাণ্ড কেবল কয়েকজন খুনির কাজ ছিল না। এর নেপথ্যে ছিল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র। ঘাতকদের লক্ষ্য ছিল, দীর্ঘ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাংলাদেশটাকেই ধ্বংস করে দেওয়া।
এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে লাভবান হয় স্বাধীনতাবিরোধী সব অপশক্তি, ক্ষতিগ্রস্ত হয় গোটা বাঙালি জাতি উল্লেখ করে সেলিনা হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা একদিনে অর্জিত হয়নি। এর পেছনে ছিল দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম, যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডে জাতি শোকে কাতর ও হতবিহ্বল হয়ে পড়লেও তা ছিল সাময়িক। বীরের জাতি বাঙালি অবশেষে ঘুরে দাঁড়ায়, শোককে পরিণত করে শক্তিতে।
রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহানসহ অনুষদ অধিকর্তা, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় সভাপতি, হল প্রাধ্যক্ষ, দপ্তর ও শাখাপ্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।