‘প্রবীরকে যেভাবে নেওয়া হয়েছে তা সভ্যতার পরিচায়ক নয়’
সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের আটক প্রসঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘একজন পঙ্গু লোক, মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম এবং দেশের প্রতি যার আনুগত্য প্রশ্নাতীত, এমন একজন মানুষের সাথে যেভাবে আচরণ করা হয়েছে, হাতকড়া পরিয়ে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা সভ্যতার পরিচায়ক নয়। যিনি অভিযুক্ত তারও ন্যূনতম মর্যাদা আছে। আর যা কিছু মানবিক মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে, সেটিই মানবাধিকারের লঙ্ঘন।’
আজ বুধবার সকালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত শোক দিবসের সভায় যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মিজানুর রহমান।
সাংবাদিক শওকত মাহমুদের আটক প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান বলেন, ‘নিশ্চয় রাষ্ট্র এমন কিছু করবে না যাতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বা ভিন্ন মতাবলম্বীদের প্রতি রাষ্ট্রের কোনো আক্রোশ বা বিদ্বেষ প্রতিভাত হয়।’ তিনি বলেন, ‘যদি কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকে সেখানে আমরা প্রত্যাশা করব, আইনের শাসন, আইনি প্রক্রিয়া-পদ্ধতি সবকিছু অনুসরণ করা হবে এবং বিচারিক পদ্ধতিতেই তিনি দোষী বা নির্দোষ সাব্যস্ত হবেন। এর আগেই যেন কারো ব্যাপারেই কোনো ধরনের উপসংহার টানা না হয়। বিশেষ করে নির্বাহী বিভাগ থেকে যেন উপসংহার টানা না হয়- আমরা সেই প্রত্যাশা ও দাবি করব।’
মিজানুর রহমান আরো বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও চিন্তার স্বাধীনতা সুরক্ষিত থাকতে হবে। এটি কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছিল। সে জায়গাতে যদি রাষ্ট্র সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় সেটি মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত হবে।’
পরে বেলা সাড়ে ১১টায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। সভায় তিনিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন। এ সময় বক্তারা দ্রুততম সময়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকরের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।