গলায় রশি বেঁধে শিশুকে নির্যাতন
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াবিল গ্রামে মো. হৃদয় হোসেন (৯) নামের এক শিশুকে মারধর ও গলায় রশি বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার শিশুটি দুদিন ধরে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মুরগির খামারের বেড়ায় কাদামাখা হাত মুছায় একই গ্রামের আলাউদ্দিন আলাল (৩৫) শিশুটিকে নির্যাতন করেছেন বলে স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ আলালকে গ্রেপ্তার করে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির করে। এ সময় তাঁর আইনজীবীরা আদালতে জামিন আবেদন করলে বিচারিক হাকিম আদালত ১-এর বিচারক মো. আবদুল হাই জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
হৃদয় ওই গ্রামের শাহাদাত হোসেনের ছেলে এবং বালিয়াবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। আর আলাল একই গ্রামের মঙ্গল আলীর ছেলে এবং ব্রয়লার মুরগির খামারের মালিক।
শিশুটির স্বজনরা জানান, গত মঙ্গলবার বিকেলে হৃদয় ও তার খালাতো ভাই রায়হান হোসেন বালিয়াবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে খেলতে যায়। সন্ধ্যার আগেই খেলা শেষে হৃদয় ও রায়হান বাড়ি ফিরছিল। ফেরার পথে আলালের মুরগির খামারের বেড়ায় হৃদয় কাদামাখা হাত মোছে।
এটি দেখে আলাল ক্ষিপ্ত হয়ে খামারের ভেতর নিয়ে হৃদয়কে মারধর ও গলায় রশি পেঁচিয়ে নির্যাতন করেন। রায়হান বাড়িতে গিয়ে এ ঘটনা জানালে স্বজনরা এসে গুরুতর অবস্থায় হৃদয়কে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মেহতাব উদ্দিন আহমেদ এনটিভি অনটিভি অনলাইনকে জানান, শিশুটিকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন তার গলায় বেশ স্পষ্ট দাগ ছিল। দুদিন চিকিৎসার পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। প্রথম দিকে খাবারে একটু সমস্যা হলেও এখন আর হবে না। চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে আরো দু-তিনদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
চিকিৎসাধীন হৃদয় হোসেন সাংবাদিকদের জানায়, সে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও গলায় প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছে। গলা ব্যথার কারণে কথা বলতে ও স্বাভাবিকভাবে খাবার খেতে পারছে না।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, শিশুটিকে নির্যাতন করার অভিযোগে থানায় আলালের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। আর মামলাটি গুরুত্ব সহকারে পুলিশ তদন্তের কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।