করোনায় মৃত বেড়ে ৪২৯০ জন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাননি ট্রাম্প
বিশ্বের ১১৫টি দেশ বা অঞ্চলে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ২৯০ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এক লাখ ১৯ হাজার ২৩০ জন। আর করোনায় আক্রান্ত হয়েও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৬ হাজার ৩৩৫ জন। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিএনও নিউজ এসব তথ্য জানিয়েছে।
চলমান পরিস্থিতিতে প্রথমবারের মতো উহান পরিদর্শন করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাস টেস্ট করেছেন কি না, হোয়াইট হাউসে জানতে চেয়েছেন সাংবাদিকরা।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের উৎসস্থল উহান শহরে যান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এটাই উহানে চীনা প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর। গত সোমবার সকালে উহানে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইরত মেডিকেল কর্মী, গণমুক্তি ফৌজের সৈন্য, পুলিশ কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। ঘুরে দেখেন রোগী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অবস্থা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, এমন প্রশ্ন ছিল ওয়াশিংটনের সাংবাদিকদের। যদিও প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান ট্রাম্প। তবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স জানান, তিনি অথবা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করেননি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ দলীয় এমপি নাদিন ডোরিস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি স্বেচ্ছায় নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মার্কিন কংগ্রেসের দুই রিপাবলিকান সদস্য—টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজ ও অ্যারিজোনার রিপ্রেজেন্টেটিভ পল গোসার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার পর নিজেরাই কোয়ারেন্টাইনে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও সম্প্রতি এ দুজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬টি অঙ্গরাজ্যে ও রাজধানী ওয়াশিংটনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭৬ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মারা গেছেন ৩০ জন।
করোনাভাইরাসে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে পুরো ইতালি। দেশটিতে ১০ হাজারের বেশি করোনায় আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৬৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুরো ইতালিতে চলাচলের ওপর কড়াকড়ি আরোপের পাশাপাশি জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে দেশটির সাড়ে ছয় কোটি মানুষ কার্যত অবরুদ্ধ দশার মধ্যে পড়েছে।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতে বলেছেন, যারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে, তাদের সুরক্ষার জন্যই এ কড়াকড়ি। এখন আর অপেক্ষা করার সময় নেই।
ইতালির পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইরানের। সেখানে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ইরানে আট হাজার ৪২ জন আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ২৯১ জনের।
ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন দেশটির সংস্কৃতিমন্ত্রী ফ্রঁ রিয়েস্তাসহ মোট এক হাজার ৭৮৪ জন।
নেদারল্যান্ডসে চারজনের মৃত্যু এবং তিন শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার পর দ্য হেগে ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুথ আহ্বান জানান, এখন থেকে করমর্দন করা বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, ‘আপনি পায়ে চুমু দিতে পারেন, অন্যকে বাহুতেও আবদ্ধ করতে পারেন, কিন্তু হ্যান্ডশেক (করমর্দন) নয়।’