কিশোরগঞ্জে ৪২ জন ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’
কিশোরগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে সন্দেহে জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪২ জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ভৈরব উপজেলাতেই ৩৭ জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ রাখা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, এ ছাড়া সদর উপজেলায় তিনজন এবং নিকলী উপজেলায় দুজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রায় সবাই বিদেশ ফেরত হওয়ায় সতর্কতা হিসেবে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাড়ির নির্দিষ্ট কক্ষে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে পুলিশের শরণাপন্ন হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ জানান, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বেশির ভাগই ইতালি থেকে আসা। তাদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নির্দিষ্ট কক্ষে থাকতে হবে।
এদিকে আজ দুপুরে কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিভিল সার্জন মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় জেলা প্রশাসক সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং জেলার সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন মুজিবুর রহমান জানান, সভায় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ তিনটিতে কোয়ারেন্টাইন ইউনিট ও আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে।
এরইমধ্যে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরকারি মেডিকেল কলেজে ১০০ শয্যার কোয়ারেন্টাইন ইউনিট এবং ১৫ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি সব হাসপাতাল এবং বেসরকারি ক্লিনিকগুলিকেও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
পৌর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা হোম কোয়ারেন্টাইনের প্রধান পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করবেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তাঁদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।