নূর হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিচ্ছে ভারত
বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার মূল অভিযুক্ত নূর হোসেনের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে আদালতে আবেদন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আজ সোমবার বারাসাতের নিম্ন আদালতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এ আবেদন জানানো হয়।
নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে করা মামলার অন্য দুই আসামি ওহাদুজ্জামান শামীম ও খান সুমনের আইনজীবী অনুপ ঘোষ জানান, আজ এ মামলায় উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার জেলা সদর বারাসাতের জেলা জজ আদালতের বিচারক প্রবীর কুমার মিশ্রের এজলাসে নূর হোসেনসহ বাকি দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আদালত শুরুর পর জানা যায়, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নূরের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ তুলে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে বারাসাতের নিম্ন (সিজেএম) আদালতে।
নূরের বিষয়ে শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর। ওই দিন বারাসাতের সিজেএম আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারের বিষয়ে শুনানি হবে।
আইনজীবী অনুপ ঘোষ আরো জানান, রাজ্য সরকার নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের মামলা তুলে নেওয়ার পর তাঁকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া সহজ হয়ে যাবে। যেহেতু বাংলাদেশের কুখ্যাত অপরাধী নূর হোসেনের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি আছে, সেহেতু ভারত-বাংলাদেশ বন্দিবিনিময় চুক্তি মেনেই তাঁকে খুব সহজে বাংলাদেশের হাতে প্রত্যর্পণ করা যাবে।
নূর হোসেন বর্তমানে দমদম সেন্ট্রাল জেলে বন্দি রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের মামলা থাকায় বাংলাদেশের হাতে প্রত্যর্পণ করতে নানা জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছিল। এ কারণে রাজ্য সরকার নূরের বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের মামলা প্রত্যাহার করে তাঁকে সহজে বাংলাদেশের হাতে প্রত্যর্পণ করতে চাইছে বলে মনে করেন আইনজীবী অনুপ ঘোষ। তিনি জানান, তবে এ মামলায় নূরের বিরুদ্ধে সরকারি আইনজীবী মারফত রাজ্য সরকার মামলা প্রত্যাহারের আর্জি জানালেও নূরের অপর দুই সঙ্গী ওহাদুজ্জামান শামীম ও খান সুমনের বিরুদ্ধে যেভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের মামলা চলছিল, তা চলবে।
বর্তমানে ওহাদুজ্জামান শামীম জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তবে জামিনে মুক্তি পেলেও খান সুমন আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে আজ বারাসাত আদালতে হাজিরা দেন নূর হোসেন ও ওহাদুজ্জামান শামীম।