বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে অপারেশন হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বান্দরবানে থানচি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ওপর হামলাকারী মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আজ বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিক সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী। ওলামা মাশায়েখ ঐক্যজোট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। urgentPhoto
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কম্বিং অপারেশন বলেন, যৌথ অপারেশন যেটাই বলেন, আমরা এদের সার্চ করে এখান থেকে উৎখাত করব। এখানে যাতে তারা পরবর্তী সময়ে এই ধরনের পরিস্থিতি না ঘটাতে পারে।’
এ সময় মন্ত্রী আরো জানান, আহত বিজিবি সদস্যের চিকিৎসার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা নিরাপদে বিওপি ক্যাম্পে ফিরে এসেছেন।
এর আগে সকালে বিজিবির নিয়মিত টহলের সময় থানচি উপজেলার রোমাক্রী ইউনিয়নের বড় মদক এলাকায় বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা চালায় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা। এ সময় বিজিবিও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে বিজিবি নায়েক জাকির এবং জওয়ান আব্দুল গনি আহত হন। সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ জানান, আজ সকালে মদক বিওপি থেকে বিজিবির ১০ সদস্যের একটি টহল দল নৌকা যোগে যাচ্ছিল। অপরদিক থেকে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল আসছিল। দুটি টহল দল একত্রিত হয়ে (লিঙ্ক পেট্রল) পুনরায় যার যার ক্যাম্পে ফেরত যাবে।
‘এ সময় পাহাড়ি এলাকায় নদীর দুই পার থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা টহল দলের ওপর গুলি বর্ষণ শুরু করে। তখন নৌকাগুলো পাড়ে ভিড়ে যায়। টহল দলের সদস্যরা পাড়ে গিয়ে আশ্রয় নেন। বিজিবিও গুলি ছুড়ে। এ সময় নায়েক জাকির আহত হন। সন্ত্রাসীরা সংখ্যায় অনেক ছিল। তারা সেনা ও বিজিবি সদস্যদের পিন-ডাউন করে রেখেছে।’
বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, পাশাপাশি সন্ত্রাসীরা কাছাকাছি মদক বিওপিতেও গুলি করছে। যাতে সেখান থেকে কোনো সদস্য বের হতে না পারেন। কিন্তু বিওপিটা যেহেতু উপরে সে কারণে তারা বিশেষ সুবিধা করতে পারছে না। আমরা আরো সদস্য কাছের বিওপি থেকে সেখানে পাঠানোর চেষ্টা করব। তাদের ঘেরাও করার চেষ্টা করব। পাশাপাশি মিয়ানমারের সেনাবহিনীকে অনুরোধ করা হয়েছে, যেন তারা তাদের সীমান্ত ব্লক করে দেয়।