আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা
অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই ও বেড়া পৌরসভার মেয়র আবদুল বাতেনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় দুদক পাবনা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বাতেনের বিরুদ্ধে এ মামলা দুটি করেন। মামলা দুটিতে আরো ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে একটি মামলায় ৭৬ লাখ টাকা এবং অপর মামলায় দুই লাখ তিন হাজার টাকাসহ মোট ৭৮ লাখ তিন হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদুকের উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, দীর্ঘদিন অনুসন্ধানের পর অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পাওয়ায় এ মামলা করা হয়েছে। তিনি জানান, প্রথমবার আসামিরা নিয়ম অনুযায়ী হাট ডেকে নেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সরকারি নিয়ম না মেনেই তাঁরা হাটের ইজারা না নিয়ে এটি ভোগদখল করেন।
তবে এ ব্যাপারে মেয়র আবদুল বাতেনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি সরকারি সফরে ইরান রয়েছেন।
বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার মশিউর রহমান জানান, মামলাটির ব্যাপারে দুদক পরবর্তী সময়ে পদক্ষেপ নেবে।
মামলা দুটির এজাহারে বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে পৌর মেয়র আবদুল বাতেনসহ আসামিরা বেড়া সিঅ্যান্ডবি করমজা নতুন হাটের ৭৮ লাখ টাকার বেশি সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন বেড়া পৌরসভার প্রকৌশলী খন্দকার ফিরোজুল আলম, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হবি, আবু দাউদ শেখ, জয়নাল আবেদিন, শামসুল হক খান, এনামুল হক শামীম, আবদুর রাজ্জাক সরদার, ইসলাম উদ্দিন, আবদুস সামাদ মহলদার, শহিদ আলী, নার্গিস আক্তার এবং হাটের ইজারাদার জামায়াত নেতা এ কে এম রফিকুন নবী ও ইজারাদার মাহবুব হোসেন।
করমজা হাটের ইজারাদার মাহবুব হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, চুক্তি অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে যে টাকা জমা দেওয়ার কথা ছিল তা যথাসময়ে পৌর মেয়রের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তাই এ মামলায় আমাদের জড়ানো সঠিক হয়নি।