মওদুদের বাড়ি দখল মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে বাড়ি দখলসংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে আপিলের শুনানি আগামী বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে বিএনপি নেতাকে এ সময়ের মধ্যে আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) করতে বলা হয়েছে।
আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ নিজেই শুনানি করেন। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
গত ২৩ জুন মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের জারি করা রুল খারিজ করে অভিযোগ আমলে নেওয়া বৈধ বলে আদেশ দেন আদালত। পরে হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন বিএনপি নেতা। গত ২৩ আগস্ট আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ ৩০ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করেন। আজ মামলাটি পুনরায় শুনানি শুরু হলে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করার পাশাপাশি মওদুদকে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়।
গত বছরের ১৪ জুন মওদুদ আহমদ এবং তাঁর ভাই মনজুর আহমদের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার অভিযোগ আমলে নেন আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে মওদুদ আহমদ রিভিশন করলে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২৩ জুন রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। ৩০ আগস্ট মামলাটির অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ রয়েছে।
এ মামলায় মওদুদের ভাই মনজুর আহমদ পলাতক থাকায় আগেই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তিনি এ মুহূর্তে লন্ডনে অবস্থান করছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গুলশানে বসবাসরত মওদুদ আহমদের বাড়ির প্রকৃত মালিক ছিলেন পাকিস্তানি নাগরিক মো. এহসান। এক পর্যায়ে বাড়িটির মালিকানার কাগজপত্রে এহসানের স্ত্রীর নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁরা বাংলাদেশ ত্যাগ করলে ১৯৭২ সালে এটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয়। ১৯৭৩ সালের ২ আগস্ট মওদুদ তাঁর ইংল্যান্ড প্রবাসী ভাই মনজুরের নামে একটি আমমোক্তারনামা তৈরি করে বাড়িটি সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ নেন। এমন অভিযোগ করে দুদকের ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর অবৈধভাবে বাড়ি দখলের অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক হারুন অর রশিদ গুলশান থানায় মওদুদ ও তাঁর ভাই মনজুরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে নিম্ন আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে মওদুদ আহমদ ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।