বেড়া পৌর মেয়র বাতেনের বিরুদ্ধে দুদকের আরেকটি মামলা
ক্ষমতার অপব্যবহার, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগে পাবনার বেড়া পৌরসভার মেয়র ও বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ আবদুল বাতেনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার রাত ৮টার দিকে দুদকের পাবনা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে বেড়ায় থানায় এই মামলা করেন।
মেয়র আবদুল বাতেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুর ছোট ভাই। মামলার অন্য আসামিরা হলেন বেড়া পৌরসভার প্রকৌশলী খন্দকার ফিরোজুল আলম, সাবেক সচিব বর্তমান পঞ্চগড় পৌরসভার সচিব মো. রাশিদুর রহমান, কাউন্সিলর যথাক্রমে হাবিবুর রহমান হবি, আবু দাউদ শেখ, জয়নাল আবেদিন, শামসুল হক খান, এনামুল হক শামিম, আবদুর রাজ্জাক সরদার, ইসলাম উদ্দিন, আবদুস সামাদ মহলদার, শহিদ আলী, নার্গিস আক্তার, মোছা. জাকিয়া খাতুন ও হাটের ইজারাদার মাহবুব হোসেন বাবলু।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট বেড়া থানায় সাড়ে ৭৬ লাখ টাকা এবং ২ লাখ ৩ হাজার সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মেয়র আবদুল বাতেনসহ ১৪ জনের নামে পৃথক আরো দুটি মামলা করে দুদক।
আজকের মামলার এজাহারে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে জেলার বেড়া পৌর মেয়র আবদুল বাতেনসহ বেড়া সিঅ্যান্ডবি করমজা নতুনহাটের ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৩১৭ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে তিনিসহ আসামিরা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া বেড়া পৌর মেয়র আবদুল বাতেনসহ উল্লেখিত অভিযুক্তরা নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি হাটকে বেসরকারি ব্যক্তি মালিকানাধীন দেখিয়ে এক বছরের বদলে এক নাগারে ১৩ বছর অবৈধভাবে ভোগদখল করে সরকারের বিপুল রাজস্বের ক্ষতি করে ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন। বিধি মোতাবেক তাঁরা সরকারি কোষাগারে টাকা জমা দেননি।
দুদকের পাবনা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন অনুসন্ধানের পর সত্যতা পাওয়ায় রাত ৮টায় তিনি বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
এ ব্যাপারে বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার মশিউর রহমান মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে ব্যাপারে দুদক পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
মামলার ব্যাপারে বেড়া পৌর মেয়র আলহাজ আবদুল বাতেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকারী তারা মিয়া জানান, তিনি সরকারি সফরে ইরান আছেন। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবেন।
করমজা হাটের ইজারাদার মাহবুব হোসেন জানান, পৌর মেয়রের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সরকারের কোষাগারে যে টাকা জমা দেওয়ার কথা ছিল তা যথাসময়ে পৌর মেয়রের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তাই এই মামলায় তাঁদের জড়ানো সঠিক হয়নি।
তবে অপর সূত্র জানায়, এই হাট নিয়ে পাবনার অনেক বড় বড় রাঘব-বোয়ালরা দিনের পর দিন ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।