রাজন হত্যার আসামি কামরুলকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু
সিলেটের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কামরুল ইসলামকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে হস্তান্তর করতে কাজ শুরু করেছে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ জন্য গত সপ্তাহে একটি রাজকীয় ফরমান জারি করা হয় বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে আরব নিউজ।
গত সপ্তাহেই বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। কামরুলকে ফিরিয়ে আনতে দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগবে বলেও সে সময় জানান তিনি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সৌদি আরবের রাজকীয় আদালত কামরুলকে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেছেন। সে জন্য সৌদি আরবের ইন্টারপোল অফিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জরুরি কাগজপত্র তৈরি করতে দুই সপ্তাহের বেশি সময় লাগার কথা নয়।’
আরব নিউজের খবরে আরো বলা হয়েছে, কামরুল ইসলাম সৌদি আরবের একটি পরিবারের গাড়ির চালক হিসেবে কাজ করতেন। বাংলাদেশে ১৩ বছরের এক কিশোরকে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় গত ১৩ জুলাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাঁকে জেদ্দার ব্রিমার কারাগারে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে রেড নোটিশও জারি করেছে ইন্টারপোল।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকায় ইন্টারপোলের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এ জন্য ইন্টারপোলের বাংলাদেশ ব্যুরোর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সৌদি আরবের ইন্টারপোল ব্যুরোতে পাঠানো হয়েছে।
সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে গত ৮ জুলাই শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় নির্যাতনের ভিডিওচিত্র ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আলোচনায় উঠে আসে।
এদিকে, ঘটনার পরপর কামরুল গত ১০ জুলাই দুপুর ২টায় সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেন। তবে গত ১৩ জুলাই সেখান থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।