শিশু রাজন হত্যার বিচার শুরু
সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার বিচার শুরু হলো।
urgentPhoto
আজ মঙ্গলবার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলী আকবর মৃধা সৌদি আরবে হাজতে থাকা কামরুলসহ তিনজনকে পলাতক দেখিয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অভিযোগ গঠনকালে কড়া পাহারার মধ্যে এ মামলায় গ্রেপ্তার ১০ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়ে। পরে আসামিপক্ষ অভিযোগ গঠনের শুনানিতে অংশ নেয়। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
এঁরা হলেন পলাতক কামরুল, তাঁর ভাই শামীম ও পাভেল। কারাগারে আটক অন্যরা হলেন আজমত উল্লাহ, মুহিত আলম, নূর আহম্মদ, আলী হোসেন, রুহুল আমীন, চৌকিদার ময়না মিয়া, দুলাল আহমদ, তাজ উদ্দিন বাদল, ফিরোজ মিয়া ও আয়াজ আলী।
এর মধ্যে কামরুল সৌদি আরব পালিয়ে গেলে সেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় তাঁকে আটক করে সেখানকার বাংলাদেশ কনস্যুলেট কর্তৃপক্ষ। পলাতক অপর আসামি পাভেলের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানায়।
এদিকে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাজনের বাবা শেখ আজিজুর রহমান।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মফুর আলী বলেন, ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ময়না চৌকিদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে লাশ গুমের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষ আশা করেছে, এ মামলা দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।
গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাঁকে নির্যাতন করে হত্যার ভিডিওচিত্র ধারণ করে পরে তা অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভিডিওটি দেখে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
গত ১৬ আগস্ট রাজন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে সৌদি আরবে আটক কামরুল ইসলাম, তাঁর ভাই শামীম আহমদ ও আরেক আসামি পাভেলকে পলাতক দেখানো হয়। এ বিষয়ে ২৪ আগস্ট আদালত অভিযোগপত্র আমলে নেন।
পরের দিন আদালতের নির্দেশে ২৫ আগস্ট পলাতক কামরুল ও শামীমের মালামাল ক্রোক করে জালালাবাদ থানার পুলিশ। গত ৩১ আগস্ট তিনজনকে পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।