খবর নিতে মিনার হাসপাতালে বাংলাদেশি কর্মকর্তা
সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে নিহতদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি আছেন কি না, তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
মিনা হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষমাণ মক্কার বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রথম সচিব আজিজুর রহমান টেলিফোনে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এখনো বাংলাদেশি কারো হতাহতের খবর পাইনি। এ মুহূর্তে মিনা হাসপাতালের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, আহতদের চিকিৎসাসেবা দেওয়াটা এখন তাঁদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর পর আহত-নিহতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিনায় অন্তত ৩১০ জন হাজি পদদলিত হয়ে নিহত হয়েছেন। তবে এখনো তাঁদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় এ তালিকায় বাংলাদেশি কেউ আছেন কি না, তা জানা যাচ্ছে না।
আজ সৌদি আরবের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটা এ ঘটনায় আহতদের মিনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হাসপাতালটিতে আহতদের ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আহত বা নিহত ব্যক্তিদের কারো পরিচয়ই এখনো জানায়নি সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আজ মুজদালিফা থেকে শয়তানের উদ্দেশে পাথর নিক্ষেপের জন্য মুসল্লিরা মিনায় যাওয়ার সময় পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হজযাত্রীদের স্বজনদের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। সেখানে বাংলাদেশিদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা মিনা হাসপাতালে উপস্থিত আছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। আজ বিকেলে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি জানান, মিনা হাসপাতালে নিহতদের মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানালেই তা বাংলাদেশে জানিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়া মিনা হাসপাতালে উপস্থিত বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের ফোন নম্বরও দিয়েছেন তিনি। নম্বর দুটি হলো : +৯৬৬৫৩৭৩৭৫৮৫৯ ও +৯৬৬৫০৯৩৬০০৮২।