তদন্তের তথ্যাদি প্রকাশ না করার রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তদন্তে উঠে আসা তথ্যাদি গণমাধ্যমে প্রকাশ না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন কার্যতালিকা (কজ লিস্ট) থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসান উল্লাহ ও সজল মাহমুদ রাসেল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে টেকনাফ মডেল থানার সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দলাল রক্ষিতের ভাই দেব দুলাল রক্ষিত মামলার তদন্তে উঠে আসা তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ না করার নির্দেশনা চেয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন।
রিটে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের গণমাধ্যমের সামনে উপস্থিত না করার বিষয়েও নির্দেশনা চাওয়া হয়। এ ছাড়া কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন এই মামলার তদন্ত ও ঘটনা সম্পর্কিত তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট চারজনকে বিবাদী করা হয়।
এ বিষয়ে শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজ ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেন আদালত। আজ শুনানি নিয়ে রিটটি তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ওই ঘটনায় টেকনাফ থানা পুলিশ দুটি ও রামু থানা পুলিশ একটি মামলা করে। পরে সিনহার বড় বোড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ ১৩ জন।