সাক্ষ্য দিলেন আরো চারজন
সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় তৃতীয় দিনে আরো চারজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবার হোসেন মৃধার আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে ৩টায় শেষ হয়।
সাক্ষ্য দিয়েছেন রাজনের গ্রাম সিলেট সদর উপজেলার বাদেআলীর ইশতিয়াক আহমদ রায়হান ও নিজাম উদ্দিন, পাশের গ্রাম অনন্তপুরের আবদুজ জাহির মেম্বার এবং শেখপাড়ার পংকি মিয়া। এ নিয়ে আলোচিত এই মামলায় ১০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফুর আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অ্যাডভোকেট মফুর আলী জানান, মামলাটি দ্রুত শেষ করতে আগামী ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টোবর রাজন হত্যা মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
গত ৪ অক্টোবর আলোচিত এই হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেন রাজনের মা লুবনা বেগম, জিয়াউল হক, আল আমিন ও মাসুক মিয়া। তবে মাসুক মিয়া আসামিপক্ষে কথা বলা শুরু করলে বাদীপক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে বৈরী ঘোষণা করতে আদালতে আবেদন জানান। এর আগে গত ১ অক্টোবর রাজনের বাবা আজিজুল আলম ও মামলার বাদী জালালাবাদ থানার বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম আদালতে সাক্ষ্য দেন।
তারও আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে রাজন হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযুক্তরা হচ্ছেন সৌদি আরবে আটক সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও শেখপাড়ার মৃত আবদুল মালিকের ছেলে কামরুল ইসলাম, পলাতক থাকা তাঁর ভাই শামীম আহমদ, পলাতক থাকা দিরাইয়ের বাসিন্দা পাভেল, কামরুলের ভাই গ্রেপ্তার হওয়া মুহিদ আলম ও আলী হায়দার, তাজ উদ্দিন আহমদ বাদল, চৌকিদার ময়না মিয়া, রুহুল আমিন, দুলাল আহমদ, নগরীর জালালাবাদ থানাধীন পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ, ফিরোজ মিয়া, আছমত উল্লাহ ও আয়াজ আলী।
গত ১৬ আগস্ট রাজন হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে সৌদি আরবে আটক কামরুল ইসলাম, তাঁর ভাই শামীম আহমদ ও আরেক হোতা পাভেলকে পলাতক দেখানো হয়। আদালত ২৪ আগস্ট অভিযোগপত্র আমলে নেন। পরের দিন ২৫ আগস্ট পলাতক কামরুল ও শামীমের মালামাল ক্রোক করে নগরীর জালালাবাদ থানা পুলিশ।
গত ৩১ আগস্ট রাজন হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি পলাতক কামরুল ইসলাম, তাঁর ভাই শামীম আহমদ ও আরেক হোতা পাভেলকে পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
গত ৭ সেপ্টেম্বর রাজন হত্যা মামলা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হস্তান্তর করা হয়। গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে শেখ সামিউল আলম রাজনকে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়।