কোর্টে অবস্থানকালে অপরাধীরা পরিকল্পনা করে
কারাগারে অবস্থান করে কোনো অপরাধী বা জঙ্গি তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করার সুযোগ পায় না। কোর্টে অবস্থানকালে তারা বিভিন্ন কাজের পরিকল্পা করে। আইজি প্রিজন সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন এ দাবি করেছেন।
urgentPhoto
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিজ দপ্তরে কারাবন্দি পুনর্বাসন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন এ কথা বলেন।
সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেন, ‘আমার ধারণা তারা যখন কারাগার থেকে বের হয়ে কোর্টে আসছে এবং সারাদিন কোর্টে অবস্থান করছে। তখনই এ ধরনের যোগাযোগ করা তাদের জন্য সবচেয়ে বেশি সুবিধার।’ তিনি বলেন, ‘আমার হিসাব মতে বেশ কয়েকজন বন্দি যাদের আপনারা বিভিন্ন সময় কয়েকজনের কথা খবরের কাগজে লিখেছেন এবং তাদের আমরা দেখেছি তিন মাসের মধ্যে ৫০ থেকে ৫৩ বার তারা কোর্টে এসেছে। যারা এত ঘনঘন কোর্টে আসে তাদের কারাগারের ভেতরে বসে যোগাযোগ করার দরকার হয় না, তারা বাইরে গিয়েই যোগাযোগ করতে পারে।’
তাই এসব স্পর্শকাতর মামলার আসামিদের কোর্টে/কারাগারে না পাঠিয়ে কীভাবে বিচারকাজ সম্পন্ন করা যায় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
আইজি প্রিজন বলেন, ‘কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও অপরাধীরা বিভিন্ন কৌশলে মাদকসহ তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কারাগারে প্রবেশ করাতে পারছে।’
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণ ক্ষমতা কম উল্লেখ করে আইজ প্রিজন বলেন, ‘আগামী ১৫ নভেম্বরের পরে যেকোনো দিন কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তর করা হবে।’