অস্ত্রোপচারের পর রিয়াজের অবস্থার উন্নতি
সোমবার রাতে হাসপাতালে ভর্তির পর হৃদরোগে আক্রান্ত চিত্রনায়ক রিয়াজের হৃৎপিণ্ডে চারটি ব্লক ধরা পড়েছে। গতকাল একটি ব্লকে রিং পরানো হয়েছে। ধীরে ধীরে বাকি তিনটি ব্লকে রিং পরানো হবে বলে জানিয়েছেন অ্যাপোলো হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ‘কৃষ্ণপক্ষ’ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক জুয়েল রানা জানিয়েছেন, রিয়াজের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। গতকাল মেহের আফরোজ শাওন পরিচালিত ‘কৃষ্ণপক্ষ’ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের সময় রাত ৮টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন রিয়াজ। পরে দ্রুত অ্যাপোলো হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই অভিনেতা বর্তমানে চিকিৎসক অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে আছেন।
অধ্যাপক তালুকদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রিয়াজ এখন বিপদমুক্ত আছেন। তবে তিনদিন পর তার বাকি তিনটি ব্লকে রিং পরানো হবে।’ হাসপাতালে কতদিন থাকতে হবে, বা কবে থেকে রিয়াজ আবার শুটিং শুরু করতে পারবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক তালুকদার বলেন, ‘তাঁকে এক সপ্তাহের বেশি হাসপাতালে থাকতে হবে। এক মাস পুরোপুরি বিশ্রাম করার পর তিনি আবার কাজ করতে পারবেন।’ গতকাল রিয়াজের অবস্থা কেমন ছিল জানতে চাইলে চিকিৎসক তালুকদার বলেন, ‘রিয়াজের রক্তনালীর পেশি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে হাসপাতালে আনতে দেরি হলে সমস্যা হতে পারতো। তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আনার কারণে তিনি বিপদমুক্ত হয়েছেন।’ মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই ২০ মিনিটের অস্ত্রোপচার করা হয় বলে জানান চিকিৎসক অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন তালুকদার।
গতকাল রাতে ‘কৃষ্ণপক্ষ’ ছবির ইউনিটের লোকজন ছিলেন রিয়াজের সাথে। আজ সকাল থেকে হাসপাতালে আছেন রিয়াজের স্ত্রী তিনা ও শ্যালক ইমরান আইয়ুব। রিয়াজকে দেখতে সকালে হাসপাতালে আসেন চলচ্চিত্র অভিনেতা অমিত হাসান, ফেরদৌস ও মিশা সওদাগর। অবশ্য হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী রিয়াজের সঙ্গে তাঁরা দেখা করতে পারেননি।
এদিকে, রিয়াজকে ছাড়াই ‘কৃষ্ণপক্ষ’ ছবির শুটিং করা হবে বলে জানালেন ছবিটির সহকারী পরিচালক রানা। সন্ধ্যায় শুটিংয়ে অংশ নেবেন ফেরদৌসসহ অন্য শিল্পীরা। রানা আরো বলেন, ‘খুব দ্রুত ছবির কাজ শেষ করতে হবে। তাই কিছুটা বাধ্য হয়ে রিয়াজ ভাইকে ছাড়া ছবির শুটিং শুরু করতে হচ্ছে। পুরো ইউনিটের সবার অনেক মন খারাপ। তার পরও আমাদের কাজ করতে হবে। এ ছাড়া কোনো উপায় নেই। কাল গভীর রাত পর্যন্ত রিয়াজ ভাইয়ের সঙ্গে ছিলাম। এখন হাসপাতালে তাঁর পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়স্বজন রয়েছেন। সবাই রিয়াজ ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।’
এদিকে রিয়াজের অসুস্থতার কথা ছড়িয়ে পড়ার পর তাঁর সহকর্মীসহ মিডিয়ার অনেকে তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।