পদ্মার দুই পারের সংযোগ গড়ে দিল স্বপ্নের সেতু
অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হলো। শেষ স্প্যান বসানোর মধ্যে দিয়ে পদ্মা নদীর দুই পারের সংযোগ গড়ে দিল স্বপ্নের সেতু। চোখের সামনে দৃশ্যমান এখন পুরো পদ্মা সেতু। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সবশেষ ৪১তম স্প্যানটি সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয়। এর মাধ্যমে সম্পন্ন হলো পদ্মা সেতুর মূল কাজ।
কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ ভেদ করে সূর্যের এক চিলতে আলো আজ মনে করিয়ে দেয় পদ্মা সেতুর জন্মের ইতিকথা। মনুষ্যসৃষ্ট ও প্রকৃতির সমস্ত প্রতিকূলতাকে পেছনে ঠেলে স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ বাংলাদেশের গৌরবময় বাস্তবতা।
স্বপ্ন এখন সত্যি। সূর্যের নিয়ন ছটায় পুরো সেতুর দৃশ্যমান চিত্র পদ্মার সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। বুক চিতিয়ে নদীর মাঝখানে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ।
স্বপ্ন পূরণে আরো এক ধাপ এগিয়ে সেতুর পরিপূর্ণ রুপ দিতে আজ দুপুর ১২টা ২ মিনিটে ৪১তম স্প্যান বসার মধ্যে দিয়ে জোড়া লাগে, যুক্ত হয় পদ্মার দুই পার; মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা। গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনার নির্মাতা চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন-এমবিইসি।
শেষ স্প্যানের দুই মাথায় ছিল দুই বন্ধু দেশের পতাকা। বৃহস্পতিবার দৃশ্যমান সেতুর সৌন্দর্য দেখতে উপস্থিত হন অসংখ্য মানুষ। উচ্ছাস প্রকাশ করেন তারা।
পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি খুঁটির ওপর বসেছিল ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। নকশা পরিবর্তন, তীব্র স্রোতে নদী ভাঙন, করোনা পরিস্থিতির সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাকি ৪০টি স্প্যান বসাতে তিন বছর দুই মাস লাগল। সর্বশেষ স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে আলোচিত পদ্মা সেতুর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বড় কাজের সমাপ্তি হলো। এরপর সড়ক ও রেলের স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হলে সেতু দিয়ে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯ জেলার সঙ্গে সারা দেশের সরাসরি সংযোগ স্থাপিত হওয়ার পথ উন্মুক্ত হবে।