‘হামলার তথ্যের উৎস জানাতে পারেননি রাষ্ট্রদূতরা’
বিদেশিদের ওপর আরো হামলা ও সহিংসতার ‘নির্ভরযোগ্য তথ্যে’র উৎস জানাতে পারেননি রাষ্ট্রদূতরা বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। আজ বুধবার সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে চার দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
urgentPhoto
বৈঠকে অংশ নেওয়া কূটনীতিকরা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন, কানাডার হাইকমিশনার বেনোয়া-পিয়ের লারামি ও অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার গ্রেগ উইলকক।
এর আগে পৃথক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে বিদেশিদের ওপর আরো হামলা ও সহিংসতা হতে পারে বলে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বিদেশিদের ওপর আরো হামলা ও আশঙ্কার নির্ভরযোগ্য তথ্য আছে। এ কারণে আমাদের নাগরিকদের জন্য সতর্কতা (অ্যালার্ট) এখনো বহাল আছে।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তাঁরা দুই বিদেশি নাগরিক হত্যা ও বাংলাদেশে বিদেশিদের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে সরকারের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে ভ্রমণ সতর্কতা বহালের বিষয়ে তাঁরা বলেন, ‘আরো হামলার আশঙ্কার বিশ্বাসযোগ্য তথ্য আছে’। আমি বারবার তাঁদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের উৎস জানতে চেয়েছি। তাঁরা এটি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।“
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাঁদের কাছে এটিও জানতে চেয়েছি যে, নিরাপত্তাব্যবস্থায় আমাদের আরো করণীয় কিছু আছে কি না? জবাবে তাঁরা বলেছেন, আমরা রাস্তায় বের হলে নিরাপত্তা বাহিনীর সতর্ক উপস্থিতি লক্ষ করছি। এটি সন্তোষজনক ও ইতিবাচক। আমরা চাই, এটি যেন অব্যাহত থাকে।’
কামাল আরো বলেন, ‘দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়ে আমি তাঁদের বলেছি, আমরা তদন্তের শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি। শিগগিরই এটি প্রকাশ করা হবে। এ ঘটনার সঙ্গে কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই এবং দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই। এ ব্যাপারে আমরা তাঁদের নিশ্চিত করেছি।’ বিদেশিদের হামলার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে গোয়েন্দা বিভাগের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ অত্যন্ত সক্ষমতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে।’
সতর্কতা জারির ফলে বাংলাদেশে বিদেশিদের আসা-যাওয়ার ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি বলেও মন্ত্রী দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্য কাজের উদ্দেশ্যে যাঁরাই এসেছেন, প্রত্যেকের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিদেশিরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের যেখানেই আছেন, সেখানে তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। আমাদের দেশের মানুষ অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ। বিদেশিদের পেলে তাঁরা খুব খুশি হন।’
সম্প্রতি ঢাকায় ইতালির নাগরিক চেসারে তাভেলা ও রংপুরে জাপানের নাগরিক হোশি কুনিও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশের ভেতরে বিদেশিদের চলাচলে সতর্কতা জারি করে কয়েকটি দেশ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকার কূটনৈতিক অঞ্চলসহ বিদেশিদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।