রায়ের জন্য জনগণের কাছে যেতে চাই : কাদের সিদ্দিকী
আদালতে ন্যায় বিচার পেয়েছেন, এবার নির্বাচনের রায়ের জন্য জনগণের কাছে যেতে চান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী।
আজ বুধবার সকালে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করার পর সাংবাদিকদের কাছে এ প্রত্যাশার কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এ দেশে যুদ্ধাপরাধীদেরও আত্মপক্ষ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু আমাকে নির্বাচন কমিশন সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করে। আমি ন্যায় বিচারে বিশ্বাসী। হাইকোর্টে ন্যায় বিচার পেয়েছি। এখন জনগণের কাছে যেতে চাই তাদের রায়ের জন্য। আদালত আমাকে সুযোগ করে দিয়েছেন।’
এর আগে কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে তা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কাদের সিদ্দিকীর মনোয়নপত্র কেন বৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রুলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি ইজারুল হক আকন্দের অবকাশকালীন বেঞ্চ নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে এ আদেশ দেন।
গতকাল মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন কাদের সিদ্দিকী। রিট আবেদনে বলা হয়, ঋণখেলাপির অভিযোগে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা অবৈধ। কেননা, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পুনঃতফসিল করায় কাদের সিদ্দিকী ঋণখেলাপির অন্তর্ভুক্ত হননি।
এর আগে ১৩ অক্টোবর ঋণখেলাপির অভিযোগে নির্বাচন কমিশন এ আসনের উপনির্বাচনে কাদের সিদ্দিকী ও তাঁর স্ত্রী নাসরিন কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করে। কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন বাতিলের কারণ হিসেবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থার নামে অগ্রণী ব্যাংকে ১০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। কাদের সিদ্দিকী এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এবং নাসরিন কাদের সিদ্দিকী পরিচালক। ঋণখেলাপি হওয়ায় তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১০ নভেম্বর টাঙ্গাইল-৪ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন কাদের সিদ্দিকীর ভাই সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ সিদ্দিকী। নিউইয়র্কের এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ, তাবলীগ জামাত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে মন্তব্য করায় সংসদ সদস্যপদ ছাড়তে হয় তাঁকে।