আমরা ভিক্ষুক নই, আত্মমর্যাদাশীল জাতি : এলজিআরডি মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাঙালিরা ভিক্ষুকের জাতি হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেনি। বিএনপি ক্ষমতায় এসে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলে দেশে দুর্ভিক্ষ, খাদ্য ঘাটতি থাকলে ভিক্ষা পাওয়া যায়। আর আওয়ামী লীগ বলে ভিক্ষুকের জাতি হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করা হয়নি। এ দেশের মানুষ নিজেদের আত্মমর্যাদা নিয়ে সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে বাঁচবে।
আজ বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে আয়োজিত ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর আঘাত করলে, ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে জাতির পিতাকে অসম্মান করলে পুরো জাতির বুকের রক্তক্ষরণ হয়। তাই এ ধরনের কার্যক্রম দেশের মাটিতে আর করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ চেষ্টা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা মোকাবিলা করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের লড়াই-সংগ্রামের ফলে ৩০ লাখ শহিদ এবং দুই লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। হাজারো কষ্টের বিনিময় লালিত স্বপ্নের স্বাধীনতা অর্জিত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফিরে আসেন তখন বাঙালি জাতি সেই দুঃখ কষ্ট ভুলে যায়।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে যে উন্নয়নের যাত্রা শুরু করেছিলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের সেসব গৃহীত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়। শুধু তাই নয় স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতায় এনে লাল সবুজের পতাকাকে কলঙ্কিত করেছে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে দেশি-বিদেশি দোসরদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।