কুষ্টিয়ায় বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর; পুলিশ হেফাজতে ৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া মহাবিদ্যালয়ে স্থাপিত ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
কয়া মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিজামুল হক চুন্নু, অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ ও নৈশপ্রহরী খলিলুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কুমারখালী থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে তাদের থানায় নেওয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আতিকুর রহমান এনটিভিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্যের নাক ও মুখের কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।’
১৮৭৯ সালে কুষ্টিয়ার কয়া গ্রামে জন্ম নিয়েছিলেন বাঘা যতীন। তিনি ভারতবর্ষকে পরাধীনতার শেকল ভেঙে মুক্ত করার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। মাত্র চারজন কিশোরযোদ্ধাকে নিয়ে সাড়ে চার হাজার ব্রিটিশ সৈন্যের বিশাল বাহিনীর সঙ্গে তিনি মরণযুদ্ধে নেমেছিলেন। সেই যুদ্ধেই নিহত হন ব্রিটিশবিরোধী এ যোদ্ধা।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে পৌরসভার নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পৌরসভার পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় পুলিশ সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে ভাঙচুরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত দুই মাদ্রাসাছাত্রকে শনাক্তের পর গ্রেপ্তার করে। ঘটনার পর মাদ্রাসার ওই দুই ছাত্রকে সহযোগিতা করার জন্য মাদ্রাসার দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষক বর্তমানে এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।