মেঘনায় বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবি : নিখোঁজ ৮ জনের সন্ধানে তৎপরতা
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় মেঘনা নদীতে গত মঙ্গলবার বরযাত্রীবাহী ট্রলারডুবিতে সাতজনের লাশ উদ্ধার হলেও নিখোঁজ আটজনের সন্ধানে তিন দিন ধরে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড। হাতিয়া থেকে মনপুরা ও নলেরচরের সমুদ্র অংশেও উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপুলিশের পরিদর্শক মো. একরামুল্লাহ।
এদিকে, লাশ সংগ্রহ করতে পারলে জেলেদের জন্য নগদ অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছে নৌপুলিশ।
এ ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহত সাতজন হলেন, নববধূ তাছলিমা আকতার (২১), আফরিনা আকতার লামিয়া (২), আসমা বেগম (১৯), লিলি আকতার (৮), হোসনে আরা রূপা (৫), রাহেনা বেগম (৩০) ও নুরজাহান বেগম (৬৫)। নববধূ তাছলিমা হাতিয়া চানন্দী ইউনিয়নের ইব্রাহীমের মেয়ে।
এরই মধ্যে, নিহত নববধূর বাবা মো. ইব্রাহিম বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের।
গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রায় ১০০ জন যাত্রী নিয়ে হাতিয়ার কেরিংচর ইউনিয়নের চানন্দী থেকে সুখচর ইউনিয়নের ঢালচর যাওয়ার পথে অতিরিক্ত জোয়ারের কবলে পড়ে ট্রলারটি। এ সময় ট্রলারটি নদীতে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হন অনেক যাত্রী। নদী থেকে এ পর্যন্ত সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হলেও বাকিদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা কেউ বলতে পারছে না।