আজ দেখা যাবে অতিবিরল ‘ক্রিসমাস স্টার’
এক মহাজাগতিক অতিবিরল দৃশ্যের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব। সৌর জগতের দুই গ্রহ বৃহস্পতি ও শনির যুগলবন্দি। আজ সোমবার এ দুটি গ্রহ এতই কাছে চলে আসবে যে, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে খালি চোখেও তা বোঝা যাবে। দেশের বিজ্ঞান সংগঠন অনুসন্ধিৎসু চক্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ আকাশে বৃহস্পতি গ্রহ শনি গ্রহকে অতিক্রম করবে। এই সময় তারা মাত্র শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি ব্যবধানে থাকবে। বৃহস্পতি গ্রহ প্রতি ১২ বছরে সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরে আসে, শনি গ্রহের সময় লাগে ৩০ বছর। বৃহস্পতি তার প্রতিবেশী গ্রহ শনির পাশ দিয়ে প্রতি ২০ বছর অন্তর যায়। তবে এ রকম সংযোগ রাতের আকাশে সবসময় হয় না বা এত কাছাকাছি হয় না। সেজন্য এই সংযোগ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অনুসন্ধিৎসু চক্র জ্যোতির্বিদ্যায় আগ্রহী সবাইকে এই চমকপ্রদ সম্মিলনকে দেখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশে উজ্জ্বল বৃহস্পতি গ্রহ সহজেই দৃষ্টিগোচর হবে। এর জন্য দুরবিনের প্রয়োজন হবে না। এর একটু ওপরেই অপেক্ষাকৃত ম্লান শনি গ্রহ দেখা যাবে। সূর্যাস্তের এক ঘণ্টার মধ্যেই এই উজ্জ্বল জোড়াগ্রহ দিগন্তে নেমে যাবে। তাই সূর্যাস্তের পর পরই এটি দেখার সবচেয়ে ভালো সময়।
ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ গবেষক অধ্যাপক ডেভিড ওয়েইনট্রাব জানিয়েছেন, এমন ঘটনা একজন মানুষ তাঁর জীবনকালে একবারই দেখার সুযোগ পেতে পারেন। বিজ্ঞানীরা একে বলছেন ‘গ্রেট কনজাংশন’ বা ‘মহাসম্মিলন’ কিংবা ‘মহাযুগলবন্দি’ অথবা ‘মহাসংযোগ’। এই মহাজাগতিক ঘটনাকে ‘ক্রিসমাস স্টার-২০২০’ নাম দিয়েছে নাসা
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শেষবার এমন ঘটনা ঘটেছিল ১৬২৩ সালে। তখনো বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি জীবিত। টেলিস্কোপ আবিষ্কারের ১৩ বছর পর সে ঘটনা ঘটেছিল। সে হিসেবে ৩৯৭ বছর পর আবার এমন বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকতে পারবে পৃথিবীবাসী।