নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা নেই : জাতীয় পার্টি
জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেছেন, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। নির্বাচন কমিশনসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। জাতীয় পার্টি চায় নির্বাচন কমিশন যেন প্রতিটি নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও প্রতিযোগিতামূলক করতে পারে।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে দলের প্রেসিডিয়ামের সভা হয়। সভা শেষে দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, স্বাধীন এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যেন নির্বাচন কমিশন প্রভাব ও হস্তক্ষেপ মুক্তভাবে কাজ করতে পারে। জাতীয় পার্টি কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চায় না।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু আরো বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ধানমণ্ডি এলাকায় উপনির্বাচনে মাত্র শতকরা দুই ভাগ ভোট পড়েছে এবং ডেমরা এলাকায় ভোট পড়েছে মাত্র শতকরা ১০ ভাগ। অথচ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দাবি করে তাদের কারো ৩৫, আবার কারো ৪০ ভাগ ভোট রয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা নেই। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ছাড়া স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব নয়।
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেছেন, মহামারি আকারে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। হাসপাতালে সিট নেই, চিকিৎসা নেই। এখন মানুষ বাঁচানোই সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি। আমরাই দাবি করেছি, দেশের প্রতিটি মানুষকে বিনামূল্যে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দিতে হবে।
জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাস বন্ধ হচ্ছে না। ধর্ষণ প্রতিরোধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন হয়েছে। কিন্তু ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে না। পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করেছিলেন। তাই দেশের মানুষ পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির শাসন ফিরে পেতে চায়। জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের রাজনীতির নিয়ামক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে।
এর আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রেসিডিয়াম সভায় বক্তব্য দেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফকরুল ইমাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, হাবিবুর রহমান, সুনীল শুভরায়, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজি সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মো. আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান, মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুর রশীদ সরকার, আলহাজ সফিকুল ইসলাম সেন্টু, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, নাজমা আখতার এমপি, আব্দুস সাত্তার মিয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, মো. জহিরুল ইসলাম জহির ও কারি মো. হাবিবুল্লাহ বেলালী।