মালালাকে ভারতে আনতে চায় শিবসেনা!
পাকিস্তানের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া মালালা ইউসুফজাইকে ভারতে নিয়ে আসতে চায় শিবসেনা। পাকিস্তানের শিল্পী, গায়ক, খেলোয়াড়, লেখকদের ভারতে প্রবেশের ব্যাপারে প্রবল বিরোধিতা করা সত্ত্বেও মালালা ইউসুফজাইয়ের ব্যাপারে একেবারে উল্টো মনোভাব প্রকাশ করল ভারতের এই কট্টর হিন্দুত্ববাদী দলটি।
পাকিস্তানের মাটিতে তালেবানদের হাতে আক্রান্ত মালালা ইউসুফজাইকে ভারতে আসার জন্য মোদি সরকারকে আমন্ত্রণ জানাতে অনুরোধ করেছে শিবসেনা। দলটির অন্যতম শীর্ষনেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, মালালা শান্তির কথা বলায় পাকিস্তানের মাটিতে রক্তাক্ত হয়েছেন। আসলে মালালা হলের শান্তির আসল দূত। পাকিস্তানে মাত্র শ’খানেক মালালা থাকলে ওই দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ চিরতরে মুছে যাবে। তাই শিবসেনা চায়, একমাত্র মালালাকে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে শান্তির দূত করা হোক।
সঞ্জয় রাউত জানান, মালালাকে ভারতে আমন্ত্রণ জানানো হলে শিবসেনা কোনোরকম বিরোধিতা করবে না। বরং মালালার ভারতে আগমনকে পূর্ণ সমর্থন জানাবেন তাঁরা। তিনি আরো বলেন, মালালার সঙ্গে খুরশিদ মাহমুদ কাসুরির মতো রাজনৈতিক নেতাদের অনেক পার্থক্য আছে। কাসুরির মতো রাজনৈতিক নেতারা বরাবর ভারতের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালাতে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে বোঝাপড়া করেছেন। যে কারণে কাসুরির বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করেছিল শিবসেনা।
এ ছাড়া পাক-ভারত ক্রিকেট বৈঠক, গুলাম আলীর কনসার্ট বাতিলসহ সম্প্রতি একাধিক বিষয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় শিবসেনা। কিন্তু মালালার ক্ষেত্রে কার্যত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে অবস্থান নিয়েছে এই কট্টর হিন্দুত্ববাদী দলটি। শিবসেনার মতে, মালালা পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আর নিজের লক্ষ্য পূরণ করতে গিয়ে এর আগে বুলেটবিদ্ধ হয়ে মারা যেতে বসেছিলেন তিনি।
২০১২ সালে পাকিস্তানের মাটিতে এক তালেবানি হামলায় কোনোমতে প্রাণে বেঁচে যান মালালা। তবে সেই হামলায় ভয় না পেয়ে পরবর্তীতে ফের সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে লড়াইয়ে নামেন মালালা। আর যার জেরেই শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান এই অষ্টাদশী।
শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত জানান, গোটা বিশ্বের উচিত মালালাকে দেখে শিক্ষা গ্রহণ করা। তাঁর মতে, মালালা ভারতে এলে ভারতের যে সমস্ত মুসলিমরা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেন, তাঁরা সমুচিত জবাব পাবেন। যে কারণে মালালাকে ভারতে নিয়ে আসার জন্য শিবসেনা ভারত সরকারকে আমন্ত্রণ জানাতে অনুরোধ জানিয়েছে।