কাদের সিদ্দিকীর প্রার্থিতা বাতিলে লড়বে ইসি
টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপনির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকীর প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কাদের সিদ্দিকী যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন সেই জন্য আগামী সপ্তাহেই হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে কমিশন।
গতকাল বুধবার কাদের সিদ্দিকীর এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন। এরপর আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে গামছা প্রতীক বরাদ্দ দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ইসির আইন শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, কাদের সিদ্দিকীর প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে আবেদন করবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসির প্যানেল আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ইয়াসিন খান। তিনি বলেন, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। আগামী রোববার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
ইসি আইন শাখার কর্মকর্তারা জানান, আপিল বিভাগে হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ স্থগিত হলে কাদের সিদ্দিকীর প্রতীক বরাদ্দের সিদ্ধান্তও বাতিল হতে পারে। ফলে তখন নির্বাচনে থাকতে পারবেন না কাদের সিদ্দিকী।
আগামী ১০ নভেম্বর টাঙ্গাইল-৪ আসনের এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৩ অক্টোবর কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর বিরুদ্ধে তিনি নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে তা ১৮ অক্টোবর খারিজ দেয় কমিশন। নির্বাচন কমিশনের এই দুই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং প্রার্থিতা ফিরে পেতে ২০ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করেন কাদের সিদ্দিকী।
পরের দিন গতকাল বুধবার রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের অবকাশকালীন বেঞ্চ সিদ্দিকীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন। এর ফলে বৃহস্পতিবার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় কাদের সিদ্দিকীকে।
টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন কাদের সিদ্দিকীর ভাই সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ সিদ্দিকী। গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.), তাবলিগ জামাত ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় প্রথমে মন্ত্রিসভা, পরে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে। ১ সেপ্টেম্বর লতিফ সিদ্দিকী সংসদ সদস্যের পদ থেকে পদত্যাগ করলে তাঁর আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।