নিজেদের নির্দোষ দাবি করলেন কামরুলের দুই ভাই
সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় নিজেদের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন প্রধান আসামি কামরুলের দুই ভাই আলী হায়দার ও মুহিত আলম।
আজ রোববার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধার আদালতে মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ও আসামিপক্ষের মতামত নেওয়ার সময় তাঁরা এ দাবি করেন।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামসহ ১১ জনকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর ১২টা থেকে সাফাই সাক্ষ্য দেন আসামিরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আদালতে সরকারপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মফুর আলী জানান, আদালতে হাজির থাকা ১১ আসামির সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। আলী হায়দার ও মুহিত আলম ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন। রাজন হত্যার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
মফুর আলী বলেন, রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার মামলার ১১ সাক্ষী আবার সাক্ষ্য দেন। এর আগে ১ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত রাজন হত্যা মামলায় ৩৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন করেন আদালত। ১ থেকে ১৫ অক্টোবর ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যন্ত পলাতক ছিলেন প্রধান আসামি কামরুল। ১৫ অক্টোবর সৌদি থেকে ফিরিয়ে আনার পর ১৬ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পিপি আরো বলেন, ১৮ অক্টোবর মামলার শেষ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন প্রথমবারের মতো আদালতে হাজির করা হয় কামরুলকে। ওই দিন কামরুলের আইনজীবী তাঁর উপস্থিতিতে আবার সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন করেন। আদালত এ আবেদন নামঞ্জুর করেন। ২ অক্টোবর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন কামরুলের আইনজীবী ১৫ সাক্ষীকে আবার জেরা করার আবেদন করেন। বিচারক ১১ সাক্ষীকে জেরার অনুমতি দেন।
রাজনের বাবার নিযুক্ত আইনজীবী শওকত হোসেন চৌধুরী বলেন, আজ আদালতে আসামি মুহিত আলম ও আলী হায়দার নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে শেখ সামিউল আলম রাজনকে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। হত্যার পরই সৌদিতে পালিয়ে যান প্রধান আসামি কামরুল। এ মামলায় কামরুল ছাড়া আরো ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারকাজ চলছে। এর মধ্যে কামরুলের ভাই শামীম আহমদ ও সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের জাকির হোসেন পাভেল এখনো পলাতক।