‘সাপের বিষ’সহ গ্রেপ্তার পাঁচজন রিমান্ডে
রাজধানীর রামপুরা থানার নতুনবাগ এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৮৫ কোটি টাকা মূল্যের ‘সাপের বিষ’সহ গ্রেপ্তার পাঁচজনকে তিন দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী এই আদেশ দেন।
বিষয়টি আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. মাসুদ পারভেজ আসামিদের হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক প্রত্যেক আসামিকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- মো. শফিবুল ইসলাম, মো. দুলাল, জহুরুল হক, মো. মজিবুর রহমান ও মো. মোকলেছুর রহমান।
গতকাল শুক্রবার নতুনবাগের ১ নম্বর লোহার গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব ‘সাপের বিষ’ জব্দ করে র্যাব।
এ বিষয়ে র্যাব-১২ উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মশিউর রহমান দাবি করেন, গ্রেপ্তারকৃতরা আন্তর্জাতিক সাপের বিষ চোরাচালান চক্রের সদস্য। তাদের কাছ থেকে ১২ পাউন্ড সন্দেহজনক সাপের বিষ, ছয়টি টেস্টিং কিট, সিডি, একটি ম্যানুয়াল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া সাপের বিষের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য ১০ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮৫ কোটি টাকা।
এই বিষ চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে এসেছে। এখানে লিকুইড ও ক্রিস্টাল হিসেবে এসেছে। এই চক্রের সদস্যরা মূলত বাহক হিসেবে কাজ করে থাকে। এই বিষের বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ব্যবহার রয়েছে। পাশাপাশি মদক ও ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয় বলে জানায় র্যাব।
এগুলো সাপের আসল বিষ কি না বা এ ব্যাপারে কোনো পরীক্ষা করা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের মশিউর রহমান বলেন, “আমরা যেসব প্রমাণ পেয়েছি তাতে সাপের বিষ ধরা হচ্ছে। তবে আমরা ‘সন্দেহজনক’ বিষ হিসেবে উল্লেখ করছি।”