'দুটি বোমা, পাঁচটি ডিম মেরে উন্নয়ন বন্ধ করা যাবে না'
দুটি বোমা মেরে বা পাঁচটি ডিম মেরে বাংলাদেশের উন্নয়ন বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ঢাকা ওয়াসার পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার নির্মাণ প্রকল্পের (ফেজ-১) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হোসেনী দালানে যে ছেলেটা মারা গেছে সে কিন্তু শিয়া না, সুন্নি। যে কয়জন আহত হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই কিন্তু সুন্নি মুসলমান। আমাদের যেকোনো অনুষ্ঠান সবাই মিলিতভাবেই করে।’
দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এ ধরনের হামলার মূল উদ্দেশ্য বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। কখন? যখন আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমি এটাই বলতে চাই, দুটি বোমা মেরে বা পাঁচটা ডিম মেরে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা বন্ধ করা যাবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য তারা ভালো থাকলে একশ্রেণির মানুষ দেশে জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশের মাটিতে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের ঠাঁই হবে না।’
এ ছাড়া ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করে প্রধানমন্ত্রী পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, ‘থাল-বাটি ধুতে গেলে, থালা মাজতেই থাকবে পানি ছাড়াই থাকবে। কাপড় ধুচ্ছে, কাপড় কাচছে তো কল ছাড়াই থাকছে। তার পর গাড়ি ধোয়া, প্রতিদিন গাড়ি ধোয়ার তো দরকার নেই। বালতিতে পানি নিয়ে গাড়ি মুছে ফেললেই হয়। কিন্তু পাইপ দিয়ে গাড়ি ধুচ্ছে তো ধুচ্ছে। কত পানি যে যাচ্ছে তার খবর নাই। আমরা কোটি কোটি টাকা খরচ করে যে পানি শোধন করছি, এতে সেই পানিই কিন্তু ব্যবহার হচ্ছে।’
ওয়াসার হিসাবমতে, বর্তমানে ঢাকায় প্রতিদিন পানির চাহিদা ২২০ থেকে ২২৫ কোটি লিটার। আর উৎপাদন ক্ষমতা ২৪২ কোটি লিটার। এর পরও পানি চাহিদার স্থায়ী ও টেকসই সমাধানের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভূ-উপরস্থ পানির জোগান বাড়াতে চায় সংস্থাটি। এরই অংশ হিসেবে মুন্সীগঞ্জের পদ্মা নদীর পাড়ে তিন হাজার ৫০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা-যশলদিয়া পানি শোধনাগার নির্মাণ করছে সরকার। চীনের এক্সিম ব্যাংকের ঋণ সহায়তায় প্রকল্পটির প্রথম ফেজ বাস্তবায়িত হলে দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার সুপেয় পানি পাবে নগরবাসী।