বগুড়ায় ‘বিষাক্ত মদপানে’ আরো চারজনের মৃত্যু
বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে তাঁদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। ওই চারজন গত রোববার থেকে বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন বগুড়া শহরের পুরান বগুড়া ঋষি পল্লীর প্রেমনাথ রবিদাস, শহরতলীর ফাঁপোড়ের রিকশাচালক জুলফিকার, নিশিন্দারা ধমকপাড়ার আলমগীর ও কৈপাড়ার রামচন্দ্র।
জানা গেছে, মৃত চারজনের মধ্যে প্রেমনাথ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার মারা যান।
এ ছাড়া, রোববার রাতে বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ হয়ে আলমগীর ও জুলফিকার নামের আরো দুজন নিজ নিজ বাড়িতে মারা যান বলে খবর পাওয়া গেছে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, বিষাক্ত মদপানে প্রেমনাথ নামের একজন হাসপাতালে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। আলমগীর নামের আরেকজনের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, তিনি তিন দিন আগে থেকে অসুস্থ থাকার পর সোমবার মারা গেছেন। এ ছাড়া, অন্য দুজনের ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে বলে জানান ওসি।
এদিকে, গতকাল সোমবার বগুড়ায় ‘বিষাক্ত মদপানে’ পাঁচজনের মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। গত রোববার রাতে মদপান করার পর সোমবার ভোরের দিকে শহরের পুরান বগুড়া, ফুলবাড়ী ও কাটনারপাড়া এলাকার ওই পাঁচ ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
মৃত ওই পাঁচজন হলেন শহরের পুরান বগুড়ার এলাকার রাজমিস্ত্রি রমজান আলী (৪০) ও সুমন চন্দ্র (৩৮), শহরের কাটনারপাড়ার কুলিশ্রমিক সাজু মিয়া (৫৫) ও বাবুর্চি মোজাহার আলী (৭০) এবং শহরের ফুলবাড়ী সরকারপাড়া এলাকার আব্দুল জলিল (৬৫)।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, শহরের তিনমাথা এলাকায় ঋষি (মুচি) পরিবারের ছেলে চঞ্চলের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল গত রোববার রাতে। সেই উপলক্ষে বিয়ে বাড়িতে আগত লোকজন পার্শ্ববর্তী এক হোমিও দোকান থেকে মদ কিনে পান করে। রাতে বাড়ি ফিরলে সুমন চন্দ্র, তাঁর বাবা প্রেমনাথ ও চাচা রামনাথ এবং প্রতিবেশী রমজান অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভোর রাতে তাঁদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। মদপানে অসুস্থ দুই ভাই প্রেমনাথ ও রামনাথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া রমজান স্থানীয় একটি ক্লিনিকে মারা যান।
অপরদিকে, শহরের কালীতলা এলাকায় রোববার রাতে মদপান করেন সাজু, মোজাহার ও আব্দুল জলিল। রাতে বাড়ি ফিরলে অসুস্থ হয়ে তিনজনই মারা যান।
এ ব্যাপারে ওসি হুমাযুন কবীর বলেছিলেন, ‘যারা মারা গেছেন প্রত্যেকের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে মৃত ব্যক্তিদের পরিবার থেকে বিষাক্ত মদপানে মারা যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। তার পরও বিষয়টি নিশ্চিত করতে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।’