ইয়াসিরকে দিয়ে ওয়ার্নের ইংল্যান্ড-বধের পরিকল্পনা!
খেলোয়াড়ি জীবনে ইংল্যান্ডকে অনেক ভুগিয়েছেন শেন ওয়ার্ন। অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তি লেগস্পিনারের ৭০৮টি টেস্ট উইকেটের ১৯৫টিই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ক্রিকেটকে অনেক আগে বিদায় জানালেও ইংল্যান্ডকে বিপদে ফেলার চেষ্টায় কমতি নেই ‘ওয়ার্নি’র। নিজে মাঠে থাকতে পারছেন না, তাই পাকিস্তানের লেগস্পিনার ইয়াসির শাহকে শিখিয়ে দিচ্ছেন ইংল্যান্ডকে ধরাশায়ী করার কৌশল।
ইয়াসিরের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ওয়ার্ন বৃহস্পতিবার তাঁর সঙ্গে অনুশীলন করেছেন। সেখানেই পাকিস্তানের নতুন স্পিন-তারকাকে অনেক রকম কলা-কৌশল শিখিয়েছেন সর্বকালের সেরা লেগস্পিনার। ওয়ার্নের আশা, আগামী রোববার থেকে শারজায় শুরু হতে যাওয়া তৃতীয় টেস্টে এসব কলা-কৌশল কাজে লাগাতে পারবেন ইয়াসির।
ইয়াসিরের দক্ষতায় ওয়ার্ন রীতিমতো মুগ্ধ। তিনি বলেছেন, ‘প্রথম দেখাতেই আমি তার ভক্ত হয়ে গেছি। এ মুহূর্তে সে সম্ভবত বিশ্বের সেরা লেগস্পিনার।’ অস্ট্রেলিয়ার বহু জয়ের নায়ক বিশেষ অনুশীলন নিয়েও কথা বলেছেন, ‘আমরা কোনো বিশেষ কৌশল নিয়ে কাজ করিনি। সে ইংল্যান্ড দলের কাকে বোলিং করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে পারে, তা নিয়ে কিছু পরিকল্পনা করেছি। কীভাবে সে আরো ভালো নৈপুণ্য দেখাতে পারে সে ব্যাপারেও কথা বলেছি। আমাদের যোগাযোগটা হয়তো খুব ভালো হচ্ছিল না। কিন্তু যখন আমি তার মুখে হাসি দেখতে পেয়েছি তখন বুঝতে পেরেছি যে সে কিছু-কিছু ব্যাপার ধরতে পেরেছে। আমরা এক ঘণ্টা দারুণ সময় কাটিয়েছি। সে খুবই খুশি। আশা করছি আগামী কয়েক দিনে সে অনেক উইকেট নিতে পারবে।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের একাদশে জায়গা পাননি ইয়াসির। তবে গত সপ্তাহে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েই নিয়েছেন আট উইকেট। পাকিস্তান ম্যাচটা জিতে সিরিজে এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে।
ছোটবেলায় ওয়ার্নের বোলিং দেখেই লেগস্পিন শুরু করেছিলেন ইয়াসির। নিজের আদর্শ ক্রিকেটারের কাছ থেকে প্রশংসা শুনে তিনি রীতিমতো উচ্ছ্বসিত, ‘ছোটবেলা থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল তাঁর সঙ্গে বোলিং করার, তাঁর সঙ্গে খেলার। তিনি আমার জন্য এখানে এসেছেন বলে আমি ভীষণ রোমাঞ্চিত। তিনি বলেছেন যে, টেস্ট ক্রিকেট খেলতে হয় খুবই ধৈর্য নিয়ে। তাড়াহুড়া করে শক্তি ক্ষয় করার কোনো দরকার নেই। খেলতে হবে খুবই শান্ত হয়ে।’