জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক : মির্জা ফখরুল
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কলঙ্ক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল খেতাব বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এটাকে আমি মনে করি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক।’
চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে কোয়ারেন্টিনে থাকা বিএনপির মহাসচিব আজ বুধবার টেলিফোনে সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের আমি কখনই মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনে করি না। তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং পুরোপুরিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কলঙ্ক লেপন করা হলো। আমি এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই খেতাবটা বাতিলের সিদ্ধান্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল নিয়েছে এবং তারা সরকারকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একে আমি মনে করি, এই সরকারের অপকর্ম এবং যে সমস্ত দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসছে বিভিন্নভাবে, তা থেকে জনগণের দৃষ্টি দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্যই এটা করা হয়েছে।’
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের স্মরণীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম দীর্ঘ নয় মাস সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দেশের ভেতরে থেকে লড়াই করেছেন এবং বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শুধু নয়, সারা পৃথিবীর মানুষ জানে যে, তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।’
বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ‘এই সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের শুধু নয়, বাইরের বহু লেখকের বহু লেখা আছে, যার প্রমাণ রয়েছে। এই যে বীর উত্তম খেতাবটি তিনি পেয়েছিলেন, স্বাধীনতার পরের যে সরকার শেখ মুজিবুর রহমানের যে সরকার, সেই সরকারই এই খেতাব তাঁকে দিয়েছিল।’