তারেক রহমানকে সাজা দিয়ে লাভ হবে না : মির্জা আব্বাস
তারেক রহমানকে সাজা দিয়ে লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘তারেক রহমানকে এ দুবছরের সাজা দিয়ে কী অর্জন করলেন? তারেক রহমান দেশে ফিরে এলে আপনাদের হাজার বছরের সাজা হবে।’
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নড়াইলের আদালতে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মির্জা আব্বাস।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে অনেকে মনে করল বিএনপি শেষ। বিএনপি শেষ হয়ে যায়নি, এখনো আছে। তখন বিএনপির হাল ধরেন খালেদা জিয়া। ভবিষ্যতে তারেক রহমান হাল ধরবেন।’
ঢাকার সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাস আরো বলেন, ‘সরকার এখন বলছে, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করবে। আমি বলব, এ সরকার খেতাব দেয়নি। খেতাব নেওয়ারও অধিকার নেই এ সরকারের।
মির্জা আব্বাস আরো বলেন, ‘কোনো স্বৈরাচার সরকার এমনি এমনি ক্ষমতা ছাড়ে না। ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে হয়, এখন জনগণ ফুঁসে উঠছে। এই সরকারেরও পতন হবে।’
এ ছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার অপর নাম জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে টানাটানি করলে হাত পুড়ে যাবে। জিয়াউর রহমান নাকি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। আমি বলব, জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করেননি, ১৯৭৫ সালে বাকশাল করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, ‘করোনার চেয়ে ভয়াবহ শেখ হাসিনা।’
‘এখন ঘরে ঘরে মাফিয়া। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিন। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে টানাটানি করবেন না। জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর আমরা লাশ ফেলে পালিয়ে যাইনি। কিন্তু শেখ মুজিব মারা যাওয়ার পর গোসল দেওয়ারও লোক মেলেনি,’ যোগ করেন গয়েশ্বর।
এ ছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলার সাজা দেওয়া হয়েছে। এই সাজা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চায় এই ভোট চোর সরকার। জিয়াউর রহমানের খেতাব যদি কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে আমরা শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীত্ব কেড়ে নেব।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিবুননবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।