সাকা-মুজাহিদের রিভিউ শুনানি ১৭ নভেম্বর
মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য ১৭ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী নিজের পক্ষে আটজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার যে আবেদন করেছিলেন তাও খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার এ বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারণ থাকলেও সাকা-মুজাহিদের আইনজীবীদের সময় চেয়ে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত ২০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২ নভেম্বর দুটি রিভিউ শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। তবে রিভিউ শুনানির জন্য চার সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন করেন মুজাহিদের আইনজীবীরা।
অন্যদিকে, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী নিজের পক্ষে আটজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার আবেদন করেছিলেন।
এর আগে ১৫ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষ থেকে রিভিউ শুনানির দিন নির্ধারণের জন্য আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়। এর আগের দিন সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের পক্ষে আলাদাভাবে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন তাঁদের আইনজীবীরা।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ দুজনের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করতে হয়। সে অনুযায়ী সময় শেষ হয়ে যাওয়ার একদিন আগেই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদ। এ আবেদন খারিজ হয়ে গেলে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আর কোনো বাধা থাকবে না।
গত ২৯ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ ছাড়া ১৬ জুন একই অপরাধে মুজাহিদের ফাঁসির রায় বহাল রাখেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
এর আগে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।