ভারত-পাকিস্তানকে আলোচনায় বসার আহ্বান গাভাস্কারের
রাজনৈতিক রেষারেষির কারণে ক্রিকেট বিশ্ব দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় দ্বৈরথ থেকে। এ বছরের শেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি ভারতের পক্ষ থেকে। পাকিস্তানও আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে সংশয় পোষণ করেছে। এই পরিস্থিতির অবসান ঘটানোর জন্য দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরুর তাগিদ অনুভব করেছেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান সুনীল গাভাস্কার।
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে আর কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি হয়নি ভারত-পাকিস্তান। আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি (এফটিপি) অনুযায়ী ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ছয়টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার কথা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশের। এর মধ্যে প্রথম সিরিজটি হওয়ার কথা এ বছরের শেষ দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। গত অক্টোবরে মুম্বাইয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সদর দপ্তরে বিসিসিআই ও পিসিবি এ নিয়ে আলোচনাতেও বসেছিল। কিন্তু সেই আলোচনা পণ্ড করে দিয়েছিল ভারতের হিন্দুত্ববাদী উগ্র সংগঠন শিবসেনা।
দ্রুত এই বিদ্বেষপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দুই দেশের সরকারকে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছেন গাভাস্কার। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় যে কোনো সমস্যা সমাধানের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে আলোচনায় বসা। আলাপ-আলোচনা না করলে কোনো সমাধান আসবে না। কোনো দেশের সরকারকে তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে এমন কোনো খেলা আছে বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু যখন দুটি দেশ খেলার মাঠে মুখোমুখি হয় তখন দর্শকরা সেই খেলা দেখতে আসে। তাদের মধ্যে একটা মেলবন্ধন ঘটে। বোঝাপড়া তৈরি হয়। সরকার এখান থেকে সংকেত পেতে পারে। কিন্তু আমি কোনো রাজনীতিবিদ নই। একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে আমি বলছি যে আলাপ-আলোচনা না করলে কোনো সমস্যার সমাধান হবে না।’
দুই দেশের রাজনৈতিক রেষারেষির কারণে ক্রিকেট খেলাটাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গাভাস্কার। তিনি বলেছেন, ‘ভারত যদি শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশের বিপক্ষে না খেলার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে ক্রিকেটই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যখন তারা একে অপরের বিপক্ষে খেলে তখন এই উপমহাদেশের ক্রিকেটই আরো সমৃদ্ধ হয়। এ কারণেই এশিয়া কাপ একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা।’
২০১৬ সালের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ভারতে। কিন্তু শিবসেনার হুমকির মুখে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় তা শেষপর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে।