টিকা দিতে এখন অনেক দেশ যোগাযোগ করছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশই এখন আমাদের টিকার নতুন ডোজ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করছে এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে। যারাই আমাদের সঙ্গে টিকা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে চায়, আমরাও তাদের সঙ্গে আলোচনা করি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ এবং পুনঃনির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রী জানান, ডাবল ডোজ টিকা নিলেও বিদেশ যেতে করোনার নেগেটিভ সনদ লাগবে।
টিকা আমদানির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমানে ভারতের বায়োটেক, রাশিয়া, চীন ও অন্যান্য কয়েকটি দেশে উৎপাদিত টিকার বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি। টিকা নিয়ে যারাই আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়, আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করি।
এ বিষয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আপনাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে ভ্যাকসিনগুলো রাখার টেম্পারেচার অনেক কম। সেগুলো আমাদের দেশে ব্যাপকহারে ব্যবহার করা কঠিন। সেজন্য আমাদের ওই সমস্ত টিকায় অগ্রাধিকার দিতে হবে যেগুলো আমরা দুই থেকে আট ডিগ্রিতে রাখতে পারি। এ বিষয়টি আমাদের সবার আগে মাথায় রাখতে হচ্ছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, টিকা নিলেও বিদেশ যেতে করোনার নেগেটিভ সনদ নিতে হবে। যে দেশে যাবে তারা এটা দেখতে চাইবে, তিনি ডাবল ডোজ নিয়েছেন কি না এবং কত দিন আগে নিয়েছেন। ডাবল ডোজের সার্টিফিকেটের পাশাপাশি করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট নিতে হবে।
জাহিদ মালেক মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী করোনার প্রথম ডোজ গ্রহণের আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। সারা দেশে ৭ ফেব্রুয়ারি একযোগে টিকা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ৭ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে।
বর্তমানে দেশে টিকা গ্রহণের জন্য ৩৬ লাখ ৪৩ হাজার ২৫৯ জন মানুষ রেজিস্ট্রেশন করেছেন বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। একই সঙ্গে এ পর্যন্ত (২৭ জানুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) দেশে মোট ২৩ লাখ আট হাজার ১৫৭ জন মানুষ টিকা গ্রহণ করেছে। এদের মধ্যে পুরুষ ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৫ জন ও নারী সাত লাখ ৮৯ হাজার ৪৪২ জন।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, আগের ৭০ লাখ টিকার পাশাপাশি গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় আরো নতুন ২০ লাখ টিকা দেশে এসেছে। দেশে চলমান চল্লিশোর্ধ ব্যক্তিদের টিকা প্রদান কার্যক্রমের পাশাপাশি শিক্ষক, বিমানের পাইলট, জাহাজের ক্রুসহ আরো অন্য ফ্রন্টলাইনারদের টিকা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেন, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তারসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।