নিরাপদ খাদ্য ২
খাবার নিরাপদ রাখতে করণীয়
৬.
বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকাগুলোতে প্রায়ই খাদ্যের বিষক্রিয়া বা অনিরাপদ খাবারের কারণে মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। যেমন-২০১৪ সালের ৫ মে বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকাগুলোয় প্রকাশিত খবরে জানা যায়, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবারের পর ১৩ জন শিশুসহ ৫০ ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করা একটা বুলেটিনে দেখানো হয়, এ দেশে ভোগ্য পণ্যের প্রায় ৪৮ শতাংশই ভেজাল। ১০ বছর আগেও এ দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা ছিল ৮০ লাখ, বর্তমানে সেটি দাঁড়িয়েছে দুই কোটিরও বেশিতে; যার অর্ধেকই শিশু। দেশে প্রতিবছর ৮৪ হাজার মানুষ নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে। ১৯৯২-৯৩ সালে এ দেশে করা একটা সমীক্ষা অনুযায়ী, বাংলাদেশের পুকুর ও জলাশয়ের পানিতে বিষাক্ত কীটনাশক ডাইএল্ড্রিনের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি (জাহান খুরশীদ, ২০১১)।
এ দেশে খাদ্যসামগ্রী গুদামজাতকরণেও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। তা ছাড়া, বাংলাদেশের খাবারে ভেজাল মেশানোর ঘটনা একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। বেশিদিন তাজা রাখা, উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, কাঁচা ফলকে দ্রুত বাজারজাতকরণের জন্য পাকিয়ে তোলা প্রভৃতি উদ্দেশ্য সাধনে ফল ও শাকসবজির সঙ্গে আজকাল অবাধে প্রয়োগ করা হচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য। যেমন কুমড়ার সঙ্গে মেশানো হচ্ছে সোডিয়াম সাইক্লোমেট, কাপড়ের বিষাক্ত রং, সাইট্রিক এসিড ও প্রিজারভেটিভ। বিস্কুট, চানাচুরসহ বেকারির মিষ্টিজাতীয় খাবারে মেশানো হচ্ছে কাপড়ের রংসহ ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য। যেমন- টোস্ট বিস্কুটে গ্লুটামেট, চানাচুরে মবিল, জিলাপিতে হাইড্রোজ, মুড়িতে হাইড্রোজ ও ইউরিয়া। তা ছাড়া খাদ্যসামগ্রী গুদামজাত করতে গিয়ে কীটনাশকে অনেক ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়- যেমন শুঁটকিমাছ প্রক্রিয়াজাত ও গুদামজাত করতে ডিডিটি ও অন্যান্য কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। মাছ, মাংস, ফল ও শাকসবজি বাজারজাত করা ও বেশিদিন তাজা রাখার জন্য এখন ব্যবহার করা হচ্ছে ফরমালিন, হাইড্রোক্সাইড, কার্বাইডসহ বিভিন্ন বিষ।
৭
জাতিসংঘ বিশ্বব্যাপী নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে ইন্টারন্যাশনাল হেলথ রেগুলেশন্স-২০০৫, আইন পাস করে। এ আইনের প্রতি বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব সদস্য রাষ্ট্রের রয়েছে পূর্ণ শ্রদ্ধা। বাংলাদেশ সরকার ও বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণকে আন্দোলনে রূপ দিয়েছে। বাংলাদেশের বদলে যাওয়া পরিস্থিতির সঙ্গে মিল রেখে ১৯৫৯ সালের বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ বাতিল করে ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদে পাস করা হয়েছে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’। নতুন এ আইনে খাদ্য প্রস্তুতকারী ও সরবরাহকারী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের জন্য খাদ্যকে অনিরাপদ করার দায়ে অর্থদণ্ড ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডসহ নির্দিষ্ট শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে আমলযোগ্যতা ও বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এ আইন ছাড়াও বাংলাদেশ সংবিধানে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে যেসব আইন রয়েছে এর মধ্যে পয়জন্স অ্যাক্ট ১৯১৯, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫৬, পশু জবাই আইন ১৯৫৭, অ্যাগ্রিকালচারাল প্রডিউস মার্কেটস রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৬৪, বিশুদ্ধ খাদ্য নীতিমালা ১৯৬৭, বাংলাদেশ হোটেলস অ্যান্ড রেস্টুরেন্টস অর্ডিন্যান্স ১৯৮২, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) অর্ডিন্যান্স ১৯৮৫, বিএসটিআই (সংশোধিত) আইন ২০০৩, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫, মৎস্য পরিদর্শন ও নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯৭, বিশুদ্ধ খাদ্য আইন (সংশোধিত) ২০০৫, ভ্রাম্যমাণ আদালত অধ্যাদেশ ২০০৯, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ ইত্যাদি। এসব আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা মাঝে মাঝে দেখা গেলেও তা আর স্থায়ী হয় না। আর সেই সুযোগে- ‘যে লাউ সেই কদু’ হয়ে আবার ভেজালযুক্ত খাবারে সয়লাব হয়ে যায় বাজার।
৮
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা (ফাও) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) পৃথিবীব্যাপী খাদ্যমান নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্যকে নিরাপদ রাখার জন্য সকল সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি তথ্য সরবরাহ ও গবেষণা সহায়তা দিয়ে আসছে। যেমন : ১৯৯১ সালে ফাও এবং হু তাদের জেনারেল অ্যাগ্রিমেন্ট অন টেরিফ অ্যান্ড ট্রেড (গ্যাট) সদস্য রাষ্ট্রসমূহের মাধ্যমে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ভোক্তাদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এরপর বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে নতুন স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে। এই স্বাস্থ্যনীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নের জন্য অবশ্যই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণকে প্রাধান্য দিতে হবে। আর তাই বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে খাদ্য প্রস্তুতকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভোক্তা তথা সর্বসাধারণের যোগাযোগ স্থাপনে জনসচেতনতা তৈরি করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত পর্যায়গুলো বিবেচনায় আনা যেতে পারে।
সরকারি পর্যায় : সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে নিরাপদ খাদ্য, খাবার তৈরি ও বহনকারীর পরিচ্ছন্নতা, খাবারে ভেজালজাত দ্রব্যের ব্যবহার, খাবারে বিষক্রিয়া, খাদ্যমান নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যকর উপায়ে খাবার সংরক্ষণ প্রভৃতি বিষয়গুলোর ওপর ওয়ার্কশপ, সেমিনারসহ শিক্ষামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে।
ভোক্তাদল নির্ধারণ : সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিশেষ ভোক্তা চিহ্নিত করে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে। এই ভোক্তাদলের আওতায় আসতে পারে- সাধারণ জনগণ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, স্কুলশিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী, স্থানীয় ধর্মীয় নেতা, পরিবারপ্রধান (বিশেষত মা), খাদ্য প্রস্তুতকারী ও সরবরাহকারী কোম্পানি ও সংস্থা, খাদ্য পরিদর্শকরা। তা ছাড়া শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেতে পারে।
নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনমত তৈরিকরণ : খাবার প্রস্তুতকারী ও সরবরাহকারী কোম্পানি ও সংস্থার সঙ্গে ভোক্তা শ্রেণির যোগাযোগের মাধ্যমে পারস্পরিক আলোচনায় অস্থায়ী নীতি ও সিদ্ধান্ত প্রণয়ন করা যেতে পারে, যা পরবর্তীকালে সরকারি ও বেসরকারি চূড়ান্ত নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতা করবে।
গণমাধ্যমের ব্যবহার : বাংলাদেশের জনগণ গণমাধ্যমের ব্যাপারে উৎসাহী। আর তাই রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র প্রভৃতির মাধ্যমে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক জ্ঞান জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক কর্মসূচি : স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানের পরিধি অনুযায়ী সেমিনার, ডায়ালগ, সিম্পোজিয়াম প্রভৃতির আয়োজন করা যেতে পারে।
বেসরকারি পর্যায়ে বিশেষ কর্মসূচি : পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের প্রতি স্তরে নিরাপদ খাদ্য আন্দোলনকে সবার নজরে আনার জন্য সচেতনতামূলক পথসভা, সংশ্লিষ্টজন আলোচনা প্রভৃতি কর্মসূচির ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা গ্রহণ : বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, আন্তর্জাতিক খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ থেকে তথ্য ও পরামর্শ গ্রহণ করতে পারে। তা ছাড়া ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে নিরাপদ খাবার নিশ্চিতকরণে যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করছে তা অনুকরণ করা যেতে পারে।
পেশাভিত্তিক কর্মসূচি : কৃষক, মৎস্যজীবী, হোটেল ও রেস্তোঁরা মালিকসহ খাবার প্রস্তুত ও সরবরাহকারী পেশাজীবীদের ভেজাল ও দূষণমুক্ত খাদ্য প্রস্তুত ও সরবরাহ করার জন্য নৈতিকতা জাগরণ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে জানান দেওয়া যেতে পারে। যেমন- রেস্তোরাঁর মালিকদের খাবার প্রস্তুত ও সরবরাহ করার সময় ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, রেস্তোরাঁর রন্ধনশালা, মেঝে ও চেয়ার-টেবিলের পরিচ্ছন্নতা, খাবারের পাত্র ও কাটা-বাটার যন্ত্রগুলোর পরিচ্ছন্নতা, খাবারের মেয়াদ ও মান প্রভৃতি বিষয়ে সচেতন করার জন্য সেমিনার, ওয়ার্কশপ প্রভৃতির আয়োজন করা যেতে পারে।
বিষয়ভিত্তিক আলোচনা : মাঠপর্যায়ে বিভিন্ন সমাজ ও সম্প্রদায়ে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, বসতবাড়ি ও রন্ধনশালার পরিচ্ছন্নতা, হিমায়কে এবং হিমায়কের বাইরে কাঁচা ও রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করার নিয়মাবলি প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষা প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, খাদ্য পরিদর্শকসহ অভিজ্ঞজনদের সমন্বয়ে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে।
পরিবর্তনের ধারার সঙ্গে সংযোগ রক্ষা : বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংস্কৃতির ধারায় যে পরিবর্তন চলছে তার প্রভাব যে কোনোভাবেই হোক বাংলাদেশেও এসেছে এবং আরো আসবে। এই পরিবর্তনের ধারার মধ্যে গ্রহণীয় ও বর্জনীয় ইস্যু বিবেচনা করার সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নীতি নির্ধারণ করতে হবে। যেমন- পশ্চিমা খাদ্য সংস্কৃতির অনুকরণে বাংলাদেশে এখন ফাস্টফুড সংস্কৃতির জয়জয়কার। অথচ তেল, চর্বিযুক্ত ও কৃত্রিম উপাদানের সমন্বয়ে তৈরীকৃত এসব ফাস্টফুডের অধিকাংশই হৃদরোগ, কিডনি ও যকৃতের রোগ প্রভৃতি রোগের ঝুঁকিতে আচ্ছন্ন। তা ছাড়া গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বাংলাদেশের জন্য ফাস্টফুড প্রস্তুত ও সংরক্ষণ ঝুঁকিসহ জনসাধারণের জন্য হজমের ক্ষেত্রেও ঝুঁকিপূর্ণ। সুতরাং ছড়িয়ে পড়ার আগেই দেশের আপামর জনসাধারণকে এ বিষয়ে সচেতন করে তোলার জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সচেতনতা জাগরণমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
খাদ্যকে ঘিরে স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়া বা মৃত্যুহার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো বহুকালের দারিদ্র্য ও অশিক্ষায় ঘেরা সমাজব্যবস্থা। অশিক্ষার কারণে এ দেশের অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাবার প্রস্তুতকরণ, সরবরাহ ও সংরক্ষণ করতে জানে না। অবশ্য খাদ্য প্রস্তুত, সরবরাহ ও সংরক্ষণকারী কোম্পানি ও কর্মরত ব্যক্তিবর্গের অস্বাস্থ্যকর ও অনৈতিক ব্যবস্থাসমূহ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণকে আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। খাদ্য উৎপাদন, সরবরাহ ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত উপায় অবলম্বনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে গৃহীত উদ্যোগগুলোকে বাস্তবায়নে দায়িত্বশীল সংস্থা, ব্যক্তিবর্গ ও সেই সঙ্গে সর্বস্তরের জনসাধারণ সদা সজাগ থাকলে এ ঝুঁকিগুলো এড়ানো সম্ভব। খাদ্য হোক সুস্বাস্থ্যের সঙ্গে বাঁচার মাধ্যম, মৃত্যুর সুগম পথ নয়।
লেখক পরিচিতি
ড. খুরশীদ জাহান : প্রবীণ পুষ্টিবিজ্ঞানী, অধ্যাপক ও সাবেক পরিচালক- পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
রাশেদ রাফি : জনস্বাস্থ্যবিষয়ক ফ্রিল্যান্স গবেষক।