রাজনীতি, প্রশাসনে জঙ্গিবাদী ভূত
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, ‘রাজনীতিবিদদের মধ্যে জঙ্গিবাদীদের ভূত ঢুকেছে। প্রশাসনের ভেতরে জঙ্গিবাদীদের ভূত ঢুকেছে। এ ভূত আগে তাড়াতে হবে। না হলে এ দেশকে কোনোভাবেই জঙ্গিদের হাত থেকে, জামায়াত-শিবিরের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।’
urgentPhoto
লেখক ও প্রকাশকসহ একের পর এক মানুষ হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ থেকে প্রতীকী কফিন মিছিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার আগে এ কথা বলেন ইমরান এইচ সরকার।
ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, ‘যে অপশক্তি আজ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, এ যুদ্ধ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। এ যুদ্ধে মিলিটারি, পুলিশ কাউকে তারা ক্ষমা করবে না। কাউকে তারা ছাড় দিবে না। জঙ্গিদের ব্যাপারে সরকার উদার। সরকারের কোনো ব্যবস্থা নেই।’
ইমরান এইচ সরকার আরো বলেন, ‘সরকারের যে নীতি, যেকোনো হত্যাকাণ্ড ঘটবার পর, এ জঙ্গিবাদী আক্রমণ হওয়ার পর প্রথমেই সেটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে ঘটনাটি হালকা করে দেওয়া হয়। এরপর আপনারা জানেন তা ডিনাই করা হয় অথবা কারো ওপরে দায় চাপানো হয় এবং এ দায় চাপানোর মধ্য দিয়েই এ হত্যাকাণ্ডগুলোকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।’
২০১৩ সালে ব্লগার রাজিব হত্যাসহ এখন পর্যন্ত ছয় ব্লগার হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে দুপুর ১২টায় শাহবাগ থেকে ছয়টি প্রতীকী কফিন বহন করে মিছিল বের করে গনজাগরণ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে রওনা হয়ে মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনে এগিয়ে গেলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। নেতা-কর্মীরা সচিবালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশের সাথে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে বাধার মুখে সেখানে অবস্থান নিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা ব্লগার হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে।
পরে গণজাগরণ মঞ্চের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়। হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে শাহবাগে অবস্থান নেবে গণজাগরণ মঞ্চ। সেখান থেকে পরবর্তি কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।