পেসারদের নিয়ে রোমাঞ্চিত বাংলাদেশ কোচ
নিউজিল্যান্ড দলের মূল শক্তির জায়গা পেস বোলিং। বাংলাদেশের ভয়ের কারণও কিউইদের পেস। একই সঙ্গে ঘরের মাঠে সুবিধা পাচ্ছে স্বাগতিকেরা। এমন কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে অবশ্য ভাবছেন না বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। বরং সুদূর নিউজিল্যান্ডে নিজের পেস বিভাগ নিয়েই রোমাঞ্চিত বাংলাদেশ কোচ।
নিউজিল্যান্ডের পেস বিভাগে আছেন ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, কাইল জেমিসনদের মতো দ্রুতগতির পেসার। বাংলাদেশের আছে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনদের সঙ্গে তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ, শরীফুলরা। এই অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশেলে গড়া পেস বিভাগ দিয়েই নিউজিল্যান্ডে নিজেদের পেস শক্তির কথা জানান দিতে মুখিয়ে আছেন বাংলাদেশ কোচ। মূল লড়াইয়ের একদিন আগে সংবাদমাধ্যমে তেমনটাই শোনালেন রাসেল ডমিঙ্গো।
আজ বৃহস্পতিবার বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমাদের বেশ কয়েকজন তরুণ পেস বোলার উঠে আসছে। নিউজিল্যান্ড হয়তো ওদের আগে সেভাবে দেখেনি। আমার ধারণা, তারা হয়তো এই পেসারদের দেখার আশাও করছে না। কিন্তু, ওরা দারুণ সম্ভাবনাময় পেসার। হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদরা বেশ ভালো বোলিং করছে। যে পেস বোলাররা এখন উঠে আসছে, তাদের নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত।’
নিউজিল্যান্ডে গিয়ে কোয়ারেন্টিনের পর দুই সপ্তাহ অনুশীলন করতে দেওয়ায় খুশি বাংলাদেশ কোচ। তাঁর কথায়, ‘কোয়ারেন্টিনের পর প্রস্তুতি নেওয়ার একটু বেশি সময় পেয়েছি। প্রস্তুতি অসাধারণ হয়েছে। লকডাউন কঠিন ছিল, কিন্তু খেলোয়াড়দের কোনো অভিযোগ নেই। তিন সপ্তাহ ধরে খেলোয়াড়েরা যেভাবে নিজেদের প্রস্তুত করেছে, তাতে আমি খুব সন্তুষ্ট।’
আগামী শনিবার থেকে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড সিরিজ। সিরিজের পরের দুই ওয়ানডে হবে ২৩ ও ২৬ মার্চ। সিরিজের প্রথম ওয়ানডে হবে ডানেডিনে, দ্বিতীয়টি ম্যাচ হবে ক্রাইস্টচার্চে, আর শেষটি হবে ওয়েলিংটনে।
এরপর আগামী ২৮ মার্চ থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজের পরের দুটি টি-টোয়েন্টি হবে ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল। প্রথম ম্যাচটি হবে হ্যামিল্টনে, দ্বিতীয়টি নেপিয়ারে, শেষটি অকল্যান্ডে।