সুন্দরবনের চর থেকে মৃত বাঘিনী উদ্ধার
সুন্দরবনের ভোলা নদীর ধনচেবাড়ীয়ার চর থেকে একটি মৃত বাঘিনী উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। গতকাল শুক্রবার রাতে ওই এলাকায় থেকে বাঘিনীটিকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, বাঘিনীটির মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে আজ শনিবার সকালে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বাঘিনীটির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছেন।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে গতকাল রাত ৮টার দিকে শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা নদীতে টহল দিচ্ছিল বনপ্রহরীরা। এ সময় তারা নদীর ধনচেবাড়ীয়ার চরে একটি মৃত বাঘিনী পড়ে থাকতে দেখে সেটিকে উদ্ধার করে শরণখোলা রেঞ্জ কার্যালয়ে নিয়ে আসে। বাঘিনীটি নদীতে ভেসে এসে ওই চরে আটকে যায়। বাঘিনীটির বয়স ১৪ থেকে ১৫ বছর হবে। লম্বায় প্রায় সাত ফুট।’
বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন আরও বলেন, ‘মৃত বাঘিনীটির শরীরের কোনো ক্ষতচিহ্ন নেই এবং কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এতে ধারণা করা হচ্ছে বার্ধক্যজনিত কারণেই বাঘিনীটির মৃত্যু হয়েছে। কারণ একটি বাঘিনী বেঁচে থাকে সাধারণ ১৬ থেকে ১৭ বছর। আর এটির বয়স ১৫ বছর হয়েছে।’
অন্তত চার থেকে পাঁচ দিন আগে বাঘিনীর মৃত্যু হয়েছে নিশ্চিত করে বন কর্মকর্তা বলেন, ‘শরীর থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। যদি সম্ভব হয় চামড়াটি খুলে সংরক্ষণ করা হবে। না হলে পুরো শরীর মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে। বাঘিনীটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে শরণখোলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে এটির ময়নাতদন্ত করবেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও নমুনা ঢাকায় পাঠানো হবে। সেখান থেকেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকার ছাপড়াখালী খালের চর থেকে একটি মৃত বাঘিনী উদ্ধার করে বনবিভাগ। অবশ্য ওই বাঘিনীর মৃতদেহের পেছনের কিছু অংশ কুমিরের খাওয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল।