নবজাতকের খাবার কী হওয়া উচিত?
নবজাতকের খাবার কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ডা. ওমর ইবনে হাসান। নবজাতকের খাদ্য কী হওয়া উচিত এবং কত দিন পর্যন্ত সেটি আমাদের মেইনটেইন করতে হবে? সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. ওমর ইবনে হাসান বলেন, নবজাতকের একটিই খাবার আল্লাহতায়ালা দিয়েছেন, সেটি হচ্ছে ব্রেস্ট মিল্ক। ব্রেস্ট মিল্ক ছাড়া আর কোনো খাবার নেই। আগে যেটা হতো, একটু মিষ্টি-চিনি দিয়ে খাওয়ানো হতো। এখনও অনেকে করেন। আমাদের হাসপাতালগুলোতেও লুকিয়ে হলেও খাইয়ে দিচ্ছে। এটা করা যাবে না কোনোভাবেই। আমরা সায়েন্টিফিকভাবেও দেখেছি যে ব্রেস্ট মিল্ক আসবেই।
বেবি হওয়ার পরে ব্রেস্ট মিল্ক না হওয়ার কোনো কারণ নেই। এবং মায়ের যদি ইচ্ছে থাকে—এক নম্বর শর্ত হচ্ছে মায়ের ইচ্ছে। মা যদি ইচ্ছে করে, তাহলে সিক্রেশন হবেই। দুই নম্বর শর্ত হচ্ছে, বাচ্চাকে ব্রেস্ট ফিডিং দিতে হবে। যদি দেয়, তাহলে যখন সাক করবে... একধরনের হরমোন তৈরি হবে, যেটা (ব্রেস্ট মিল্ক) তৈরি করবে। তিন নম্বর হচ্ছে, মাকে বেশি করে পানি খেতে হবে। আমরা যেটা বলি, প্রতিবার বুকের দুধ খাওয়ানোর আগে অন্তত দুই গ্লাস পানি খাবেন। তাহলে মিল্ক হয়ে যাবে। এই তিনটি মেজার যদি নেয় কেউ, কেউ যদি ইচ্ছা করে, মায়ের ইচ্ছেটা এখানে বড় ফ্যাক্টর। মাকে মায়াভরে বাচ্চার দিকে তাকাতে হবে, পজিশন নিতে হবে, খাওয়াতে হবে। মা যদি টিভি দেখতে থাকে, খাওয়াতে থাকে, তাহলেও তো হবে না… আর কমপ্ল্যান করতে থাকে, হবে না... মা যদি ইচ্ছে করে, তাহলে দুই বছর পর্যন্ত কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। অ্যাবসলিউট ব্রেস্ট ফিডিং হচ্ছে ছয় মাস। ছয় মাসের পরে সে তার বাসার যে খাওয়া, ফুড হ্যাবিট, সেটার সাথে আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। সেখানে আমরা ভাত-খিচুড়ি, বাঙালিরা যেভাবে খাই, সেভাবে আস্তে আস্তে দিতে হবে।