প্রথম ১০ ওভার টিকে থাকার আহ্বান ব্যাটিং কোচের
প্রথম ওয়ানডেতে নূন্যতম প্রতিরোধও গড়তে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই চিত্র কিছুটা বদলেছিল। ব্যাটিংয়ে ভালোই ছাপ রাখে তামিম-মিঠুনরা। শুরুতেই ভিত গড়েছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। আর মিডল অর্ডারে রানের গতি বাড়ান মোহাম্মদ মিঠুন। ২৭১ রান তুলতে সবগুলো উইকেটও হারাতে হয়নি বাংলাদেশকে।
সে হিসেবে শুরুর দিকের ব্যাটিংয়ের ওপর জোর দিচ্ছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ জন লুইস। তাঁর মতে, প্রথম ১০ ওভারে স্কোর বোর্ডে রান কম উঠলেও টিকে থাকা চাই। তিনি মনে করেন শুরুতে রান তোলার ঘাটতি পরে পূরণ করতে পারবেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের আগে সংবাদমাধ্যমকে লুইস বলেন, ‘প্রথম ১০ ওভারে যদি আমরা যথেষ্ট রান নাও করতে পারি, আমার বিশ্বাস শেষ দিকে তা পূরণ করতে পারব। আমরা যদি প্রথম ১০ ওভারে ৩০-৪০ রানে একটিও উইকেট না হারাই, কিংবা সর্বোচ্চ একটিও উইকেট পড়ে, তাহলেও বলব আমাদের অবস্থা ভালো।’
এরপর ডানেডিনের প্রথম ওয়ানডের প্রসঙ্গ টানলেন কোচ, ‘ডানেডিনে আমরা দুটি কিংবা তিনটি উইকেট হারিয়েছিলাম, এই জন্য নিউজিল্যান্ড ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরের ম্যাচে যখন তামিম ও সৌম্য ভালো জুটি গড়ল, তা মিঠুনকে ভালো খেলতে সহায়তা করেছিল এবং আমরা ভালো স্কোর পেলাম। সে হাতখুলে খেলতে পেরেছে বলেই বাংলাদেশ লড়াই করার মতো স্কোর পেয়েছিল।’
শুরুর দিকে তামিম ধীরে সুস্থে ব্যাট করেন। ওই প্রসঙ্গে লুইস বলেন, ‘তামিম অন্যদের চেয়ে অভিজ্ঞ। সে তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ক্রাইস্টচার্চে ইনিংসের ভিত গড়েছে। সেটি ইনিংসের দ্বিতীয় অংশে আমাদের সহায়ক হয়েছে। মিঠুন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। সে চেষ্টা করেছে বলের লাইনে গিয়ে ব্যাটিং করতে।’
বাংলাদেশের দুর্বলতা নিয়ে লুইস বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কিছু ব্যাপার নিয়ে বাড়তি চিন্তা করতে হয়, সেগুলোর মধ্যে আছে নতুন বলে উঁচু মানের পেস বোলিং সামলানো আর উইকেটের বাড়তি বাউন্স।’
আগামীকাল শুক্রবার মাঠে গড়াবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। ওয়েলিংটনে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায়। প্রথম দুই ওয়ানডেতে জিতে এরই মধ্যে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এবার হোয়াইওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচার লড়াই বাংলাদেশের।
ওয়ানডে সিরিজের পর মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ২৮ মার্চ থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজের পরের দুটি টি-টোয়েন্টি হবে ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল। প্রথম ম্যাচটি হবে হ্যামিল্টনে, দ্বিতীয়টি নেপিয়ারে, শেষটি অকল্যান্ডে।