মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, ৮০ ভাগ ভোট
প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। নির্বাচনে মোট ৮০ ভাগ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। এখন চলছে ভোট গণনা। ধারণা করা হচ্ছে, ভোর রাত থেকেই বিভিন্ন আসনের বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ পেতে শুরু করবে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট গ্রহণ চলে। ২৫ বছরে এটাই প্রথম প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন। প্রায় পাঁচ দশক ধরে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে সামরিক জান্তা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধারণা হচ্ছে এ নির্বাচনে শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) হয়তো সামরিক জান্তা সমর্থিত ক্ষমতাসীন ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টির (ইউএসডিপি) চেয়ে ফলাফলে এগিয়ে থাকবে। তবে সূচির দল একা সরকার গঠন করতে পারবে কি না- তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন বলেন, তিনি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেবেন। তিনি বলেন, ‘ফলাফলের ভিত্তিতে যে দল সরকার গঠন করবে, আমি মেনে নেব।’
২০১১ সালের সামরিক জান্তা সমর্থিত বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেয়। পার্লামেন্টের ৬৬৪ আসনের বিপরীতে ৯০টি রাজনৈতিক দল থেকে ছয় সহস্রাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে সামরিক বাহিনীর প্রতিনিধিদের জন্য ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সু চি বলেন, তাঁর দল নির্বাচনে জিতলে তিনি প্রেসিডেন্টের ওপরে থাকবেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ পেতে হলে ৬৭ শতাংশ আসনে এনএলডিকে জয় পেতে হবে।
বিবিসি জানিয়েছে, ভোরের আকাশ ফর্সা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নানা বয়সী নারী-পুরুষ ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়। সবার হাতে রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র। তাঁদের একটি বিষয়ে মিল রয়েছে আর তা হলো, কেউ আগে কখনো ভোট দিয়ে নতুন সরকার নির্বাচিত করেননি।
সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠী ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। এ জন্য নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আন্তর্জাতিক মহলে।
অং সান সু চি নির্বাচনে জালিয়াতি ও অনিয়ম নিয়ে এরই মধ্যে অভিযোগ করেছেন। ১৯৯০ সালের নির্বাচনে সু চির দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সামরিক বাহিনী তা উপেক্ষা করে ক্ষমতা দখল করে নেয়।