ইমরুলের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ইমরুল কায়েস যে খেলতে পারবেন, তা হয়তো তিনি নিজেও ভাবেননি। অনেক দিন ধরেই রানখরায় ভুগতে থাকা এই বাঁহাতি ওপেনার ছিলেন না ১৪ সদস্যের মূল দলে। কিন্তু হঠাৎই সৌম্য সরকারের ইনজুরি ভাগ্য খুলে দিয়েছিল ইমরুলের। দীর্ঘদিন পর ঢুকে পড়েছিলেন ওয়ানডে দলে। তবুও সিরিজের প্রথম ম্যাচে তাঁকে থাকতে হয়েছিল দর্শক হয়ে। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে ইমরুল পেয়েছিলেন আরেক দফা সুযোগ। আর এই মোক্ষম সুযোগটা কাজে লাগাতে কোনো ভুল করেননি বাংলাদেশের এই ওপেনার। দারুণ ব্যাটিং করে পূর্ণ করেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম অর্ধশতক। খেলেছেন ৮৯ বলে ৭৬ রানের লড়াকু ইনিংস।
২০১৪ সালের মার্চে ইমরুল করেছিলেন শেষ অর্ধশতক। এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ৫৯ রান। তার পর সাতটি ম্যাচে শুধু হতাশাই সঙ্গী হয়েছিল ইমরুলের। একটি ম্যাচেও তিনি যেতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটায়। বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ৯ রান। বাজে পারফরম্যান্সের কারণে তাঁকে ছাড়াই ঘরের মাটিতে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। তবে অবশেষে ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েই নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শুরু থেকেই ইমরুলকে দেখা গেছে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে। সতর্কভাবে শুরু করে ধীরে ধীরে হাত খুলেছেন তিনি। ৭৬ রানের ইনিংস খেলার পথে মেরেছেন ছয়টি চার ও চারটি ছয়। শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন শন উইলিয়ামসের বলে। জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি স্পিনারের বলে একটি ছয় মেরে পরের বলেই আউট হয়ে গেছেন লংঅনে গ্রেম ক্রেমারের হাতে ক্যাচ দিয়ে।