চট্টগ্রামে লকডাউনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও লকডাউন চলছে। আজ সোমবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহণ, দোকানপাটসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এদিকে লকডাউন পরিস্থিতির বিপক্ষে মিছিল, সড়ক অবরোধ ও সমাবেশ করেছে চট্টগ্রামের একাধিক ব্যবসায়ী সংগঠন ও তাদের কর্মচারীরা।
লকডাউন কার্যকর করতে চট্টগ্রাম নগরীর তিনটি প্রবেশপথে অবস্থান নেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসনের ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরীর বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করে মাস্ক পরিধান না করায় জরিমানা আদায় করেন।
আজ প্রথম দিনের লকডাউনে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানামা ও পরিবহণ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এদিকে গণপরিবহণের অভাবে সকাল থেকে অফিসগামী মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। কিছু গণপরিবহণ দেখা গেলেও মানুষ তাতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। এই সুযোগে ছোট যানবাহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেছে।
এদিকে, লকডাউন প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতি। আজ সোমবার বিকেলে নিউ মার্কেট মোড়সহ কয়েকটি সড়কে ব্যবসায়ীরা এ কর্মসূচি পালন করে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির সভাপতি মো. আবু তালেব ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ কবির দুলাল।
বক্তারা অবিলম্বে লকডাউন প্রত্যাহারের দাবি জানান। তাঁরা বলেন, রমজানের আগে এমন লকডাউনের কারণে ব্যবসায়ীরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিগত এক বছরের ঋণের বোঝা এখনও শোধ হয়নি। আবারও রমজানের আগে লকডাউন শুরু হওয়ায় তাঁরা এখন দিশেহারা।
অপরদিকে, চট্টগ্রামে দোকান খোলা রাখার দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে লোহাগাড়া বণিক সমিতি। সমাবেশে বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী বাচ্চু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলমসহ ব্যবসায়ী নেতারা।
বক্তরা বলেন, আমরা বাঁচতে চাই। লকডাউন চাই না। এর আগেও লকডাউনে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবারও যদি এই সময় মার্কেট বন্ধ থাকে, তাহলে আমাদের পথে বসতে হবে। আমরা লকডাউন মানি না।
মিছিল ও সমাবেশের খবর পেয়ে ছুটে আসেন লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম ও লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ। আজ দুপুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয় উপজেলা প্রশাসন। সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে এ বৈঠকের সমাপ্তি হয়।
আজ সকালে প্রকাশিত করোনা রিপোর্টে চট্টগ্রামে এক হাজার ৭৩৮ জনের পরীক্ষার বিপরীতে ৩০৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।