শীতলক্ষ্যায় লঞ্চকে ধাক্কা দেওয়া কার্গো জাহাজসহ ১৪ কর্মী আটক
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে এমভি সাবিত আল হাসান লঞ্চকে ধাক্কা দিয়ে ৩৫ জনকে হত্যার ঘটনায় এমভি এসকেএল-৩ নামের কার্গো জাহাজটিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। আজ বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদী থেকে জাহাজসহ ১৪ জন কর্মীকে আটক করা হয়। জাহজ ও আটকৃতদের নৌ-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ।
জেলা প্রশাসক জানান, পাগলা কোস্ট গার্ড স্টেশনের সদস্যরা গজারিয়া থেকে কার্গো জাহাজটিকে আটক করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন। বেশ কয়েকজন স্টাফকেও আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
গজারিয়া নৌ পুলিশের স্টেশন অফিসার মো. আব্দুস সালাম জানান, আটককৃত জাহাজসহ ১৪ জন স্টাফকে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার সৈয়দপুর কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবিতে ৩৫ জন নিহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপপরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে বন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
জানা যায়, বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলাটি করেছেন। এতে হত্যার উদ্দেশ্যে বেপরোয়া গতিতে জাহাজ চালিয়ে হত্যা সংঘটিত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে সৈয়দপুর কয়লাঘাট এলাকায় কার্গো জাহাজ এসকেএল-৩ ধাক্কা দিয়ে এমভি সাবিত আল হাসান লঞ্চকে অর্ধশত যাত্রীসহ ডুবিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। কেউ কেউ সাঁতরে তীরে উঠে প্রাণে বাঁচেন। তবে এ ঘটনায় শেষ পর্যন্ত ৩৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে এসকেএল-৩ জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবিতে ৩৫ জন নিহতের ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় গঠিত দুটি তদন্ত কমিটির গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুস সাত্তার শেখ জানান, গণশুনানিতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। প্রত্যেকের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তা বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট আকারে সাতদিনের মধ্যে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।