মুন্নীর মেডিকেলে পড়ার দায়িত্ব নিলেন হুইপ ইকবালুর রহিম
পাবনার অদম্য মেধাবী মোছা. জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নীর মেডিকেল কলেজেপড়াসহ শিক্ষার সব দায়িত্ব নিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম। ফলে চিন্তামুক্ত এখন মুন্নীর পরিবার।
‘মেডিকেলে সুযোগ পেয়েও ভর্তি অনিশ্চিত মুন্নীর’ শিরোনামে গত ৭ এপ্রিল এনটিভি অনলাইনসহ কয়েকটি গণমাধমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি খুব দ্রুত সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। মানবিক ও শিক্ষা বিষয়ক এই সংবাদটি নজরে আসে জাতীয় সংসদের হুইপ দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের। সংবাদটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন পাবনার সাংবাদিকদের সঙ্গে। পরে তিনি মুন্নীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তাঁর সমস্ত দায়িত্ব নেন তিনি।
এই বিষয়ে শিক্ষার্থী মুন্নী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার পরিবার যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেটি আমার সিদ্ধান্ত। তবে আমি এনটিভি অনলাইনসহ সব মিডিয়ার কাছে কৃতজ্ঞ। আমি আমার বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।’
মুন্নীর বাবা বাকীবিল্লার বলেন, ‘এখন আমি চিন্তামুক্ত। সংবাদ প্রকাশের পরে অনেকেই আমার মেয়র শিক্ষার জন্য এগিয়ে এসেছেন। তবে যেখানে আমার মেয়ে চান্স পাইছে সেই কলেজের মালিক হুইপ সাহেব আমাক ফোন দিয়েছিলেন। তার সঙ্গে কথা বলিছি আমরা সবাই। তিনি আমার মেয়ের সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা তাঁর অধীনেই ওই মেডিকেল কলেজে ভর্তি করার জন্য মনস্থির করেছি।’
জাতীয় সংসদের হুইপ দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম মোবাইলে বলেন, ‘মু্ক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত সংসদ সদস্য ‘এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ’ আমার বাবার নামে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নামকরণ করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের অনেক কিছু জড়িত রয়েছে। আমি সংসদের যে ভাতা পাই সেই অর্থ দিয়ে প্রতি বছর অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্যে ব্যয় করে থাকি। বর্তমানে আমাদের এই মেডিকেল কলেজের পাঁচজন শিক্ষার্থী বিনা খরচে শিক্ষাগ্রহণ করছেন। এরই মধ্যে ১৪ জন এমবিএস পাস করেছেন। সংবাদটি দেখার পরে আমি ওই অদম্য শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের চিন্তামুক্ত করেছি।’
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য সুজানগরের সন্তান কামরুজ্জামান উজ্জ্বল, পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিন, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিলেটের এক ব্যক্তি মুন্নীর জন্য সব সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।