বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৩২ রান
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তটা যে যথার্থ ছিল, তা ভালোভাবেই প্রমাণ করেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। প্রথম নয় ওভারের মধ্যে মাত্র ৩৮ রান সংগ্রহ করতেই চার উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর ৩১ বলে ৬৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সফরকারীদের সংগ্রহটা সম্মানজনক পর্যায়ে নিয়ে গেছেন ম্যালকম ওয়ালার। শেষপর্যন্ত জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ১৩২ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। তিন বল বাকি থাকতেই ১৩১ রানে গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই মাশরাফি আউট করেছেন সিকান্দার রাজাকে। চার রান করে মিড অফে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন জিম্বাবুয়ের এই ওপেনার। পরের ওভারে সফরকারীদের আরেকটি ধাক্কা দিয়ে রিজিস চাকাবভাকে আউট করেছেন আল আমিন হোসেন। রানের খাতা না খুলেই বিদায় নিয়েছেন চাকাবভা। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবার আঘাত হেনেছেন মাশরাফি। বোল্ড করে সাজঘরে ফিরিয়েছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরাকে। তিনিও ফিরে গেছেন শূন্য রানে। চতুর্থ উইকেটে ২৬ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন শন উইলিয়ামস ও ক্রেইগ আর্ভিন। কিন্তু নবম ওভারে উইলিয়ামসকে (১৫) বোল্ড করে সফরকারীদের আবার চাপের মুখে ফেলে দেন নাসির হোসেন। বাংলাদেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছিলেন শুধু ওয়ালার। চারটি চার ও ছয়টি ছয় মেরে ৩১ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে কিছুটা সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যেতে পেরেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পঞ্চম উইকেটে আর্ভিনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি গড়েছিলেন ৬৭ রানের জুটি। এর মধ্যে ৫৮ রানই এসেছিল ওয়ালারের ব্যাট থেকে। ১৫তম ওভারে মাহমুদউল্লাহ বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান ২০ রান করা আর্ভিনকে। পরের ওভারে জুবায়ের হোসেন তুলে নেন লুক জংউই ও নেভিল মাদজিভার উইকেট। ১৮তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে আউট হন ওয়ালার।
বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ, মাশরাফি, আল আমিন ও জুবায়ের।
জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করা ওয়ানডে সিরিজে একটি ম্যাচেও খেলার সুযোগ পাননি ওপেনার এনামুল হক ও লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেন। তবে প্রথম টি-টোয়েন্টির একাদশে জায়গা পেয়েছেন দুজনেই। এনামুল-জুবায়েরকে জায়গা দিতে বাদ পড়েছেন ওয়ানডে সিরিজে দুটো ফিফটি করা ইমরুল কায়েস এবং বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি।
ওয়ানডেতে সাফল্যের আলোয় উদ্ভাসিত হলেও টি-টোয়েন্টিতে তেমন সাফল্য নেই বাংলাদেশের। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে ভারতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। মাশরাফি জানিয়েছেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়েই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চান তাঁরা।
বাংলাদেশ দল
মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, এনামুল হক, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, জুবায়ের হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও আল আমিন হোসেন।
জিম্বাবুয়ে দল
এল্টন চিগুম্বুরা (অধিনায়ক), সিকান্দার রাজা, রিজিস চাকাবভা, ক্রেইগ আর্ভিন, শন উইলিয়ামস, ম্যালকম ওয়ালার, তেন্দাই চিসোরো, তিনাশে পানিয়াঙ্গারা, নেভিল মাদজিভা, লুক জংউই ও গ্রেম ক্রেমার।