জীবন ও জীবিকা দুটোই রক্ষা করতে হবে : তথ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি খারাপ হওয়া সত্ত্বেও দোকানপাট খুলে দেওয়ার বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সরকারকে তো জীবন ও জীবিকা দুটোই রক্ষা করতে হবে। সরকার লকডাউন দেওয়ার পর বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে লকডাউন না দেওয়ার জন্য। দোকান খোলার জন্যও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। জীবন ও জীবিকা রক্ষার মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। সরকার প্রথম দফা যখন লকডাউন দেয় তখনও এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। তখন নানা আলোচনা-সমলোচনা, বিশেষজ্ঞদের মত-অভিমত আমরা দেখেছি।’
সামনে ঈদ, দেশের কয়েক কোটি মানুষ দোকানের ওপর নির্ভরশীল- এমনটা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো বিবেচনায় রাখতে হয়। সেজন্য সরকার সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এগুলো খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
আজ রোববার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছি। বর্তমানে ভারতের সঙ্গে কার্যত সীমান্ত চালু নেই। আমাদের দেশ থেকে কোনো লোক সেদেশে যেতে পারছে না। সে দেশ থেকেও কেউ আসতে পারছে না। শুধু পণ্য পরিবহণ চালু রয়েছে।’
ভারতে করোনা সংক্রমণ মারাত্মক হওয়ায় গতকাল শনিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সীমান্ত বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল কি পণ্য পরিবহণও বন্ধ করে দিতে বলেছেন, যাতে বাংলাদেশে পণ্যের সঙ্কট পড়ে? মির্জা ফখরুল বুদ্ধি করেই এ প্রস্তাব করেছেন, যাতে দেশে একটি সঙ্কট তৈরি হয়।’